তরুণ নেতৃত্বে ভরসা বিএনপির, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী জামায়াত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নদীবেষ্টিত বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে পুরোপুরি জমে উঠেছে এ আসনের নির্বাচনি মাঠ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ তিনটি নির্বাচনের ফলাফল বাদ দিলে এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটিই বলা চলে। ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আটটি নির্বাচনের পাঁচটিতেই এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। নানান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বরিশাল-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন তরুণ নেতা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগও করছেন তিনি। তার অনুসারীদের দাবি, ত্যাগী নেতা হিসেবেই তাকে এবারও মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এ আসনে বিএনপির মনোনয়নের দৌড়ে আরও কয়েকজন নেতা ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক হাওলাদার, বরিশাল উত্তর জে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নদীবেষ্টিত বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে পুরোপুরি জমে উঠেছে এ আসনের নির্বাচনি মাঠ।
২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ তিনটি নির্বাচনের ফলাফল বাদ দিলে এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটিই বলা চলে। ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আটটি নির্বাচনের পাঁচটিতেই এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
নানান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বরিশাল-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন তরুণ নেতা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগও করছেন তিনি। তার অনুসারীদের দাবি, ত্যাগী নেতা হিসেবেই তাকে এবারও মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়নের দৌড়ে আরও কয়েকজন নেতা ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক হাওলাদার, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয় টিকিট পেয়েছেন রাজীব আহসান।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল জব্বার। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের দলের সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়েরকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জাতীয় পার্টিও এ আসন থেকে প্রার্থী দিতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এর বাইরে এ আসনে অন্য কোনো দলের প্রার্থীর কথা শোনা যায়নি।
আরও পড়ুন:
বিএনপির দখলে নির্বাচনি মাঠ, থেমে নেই জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন
বিএনপি-জামায়াতের চিন্তার কারণ হতে পারেন অভি
ফুয়াদের জন্য আসন ছাড়লে কপাল পুড়বে সেলিমা-জয়নুলের
বিএনপির কোন্দলে শক্তিশালী হচ্ছে জামায়াত
আসন ফাঁকা রাখায় দুশ্চিন্তায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুরের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমজনতা ভোট দিতে পারেনি। এবার সুযোগ এসেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম হবে না। তবে নদীবেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জের সাধারণ মানুষের ভোট পেতে হলে ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীদের জনসম্পৃক্ততা থাকতে হবে।’
বিএনপির প্রার্থী রাজীব আহসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিন তিনবার নির্বাচন করেছেন কিন্তু ভোটকেন্দ্রে ভোটার যায়নি। এবার অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ভোটের কথা বলছে। তাই জনগণ নির্বাচনে অংশ নেবে। জনগণের ভোটে বিএনপি এ আসনে জয়লাভ করবে।’
জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল জব্বারের ভাষ্য, ‘নদীবেষ্টিত হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জের মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করলেও তাদের মনটা খুবই নরম। জয়ী হওয়ার জন্যই মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। আশা করি মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।’
এ অঞ্চলের নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, ‘নদীর কারণে হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা উপজেলা সদর থেকেও বিচ্ছিন্ন। সেখানে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনীসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রার্থীদেরও ভোট ও ভোটারদের বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।’
বরিশাল-৩ আসনে ১৯৭৩ সালে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন (আওয়ামী লীগ), ১৯৭৯ সালে সিদ্দিকুর রহমান (বিএনপি), ১৯৮৬ সালে মইদুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), ১৯৯১ সালে মহিউদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ), ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি ও জুন এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে শাহ এম আবুল হোসেন (বিএনপি), ২০০৮ সালে মো. মেজবাউদ্দীন ফরহাদ (বিএনপি) এবং ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পঙ্কজ নাথ (আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র) নির্বাচিত হন।
বরিশাল-৪ আসনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৯৩ হাজার ২২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৩ হাজার ২৪৩, নারী ভোটার এক লাখ ৮৯ হাজার ৯৮৩ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন।
এসআর/এমএমএআর/এমএস
What's Your Reaction?