তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পাসের দাবিতে তরুণদের মানববন্ধন

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী অবিলম্বে পাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তামাকবিরোধী তরুণরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বেসরকারী সংস্থা নারী মৈত্রীর আয়োজনে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এই মানবন্ধনে তামাকবিরেধী ইয়ূথ ফোরামের সদস্যরা এই দাবি তুলে ধরেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘তামাকের কারণে অসংক্রামক রোগ যেমন- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসরোগ, ক্যানসার, কিডনি রোগ এবং আঘাতজনিত রোগ ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টোব্যাকো এটলাস ২০২৫’ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩৫ জন মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। সে হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ৩৫৭টি প্রাণ ঝরে যাচ্ছে তামাকের কারণে।’ তারা আরও বলেন, ‘তামাক ব্যবহারজনিত কারণে প্রতিবছর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় ৩৯.২ হাজার কোটি টাকা প্রায়। তামাকের এই সর্বগ্রাসী আগ্রাসনকে তাই আমরা তামাক মহামারী হিসেবেই গণ্য করছি। এই মহামারী রোধকল্পে প্রয়োজন শক্তিশালী আইন। তাই আমরা অবিলম্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণাণলয় কর্তৃক প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের দাবি জানাচ্ছি।’ মানববন্ধনে ইয়ূথরা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পাসের দাবিতে তরুণদের মানববন্ধন

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী অবিলম্বে পাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তামাকবিরোধী তরুণরা।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বেসরকারী সংস্থা নারী মৈত্রীর আয়োজনে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এই মানবন্ধনে তামাকবিরেধী ইয়ূথ ফোরামের সদস্যরা এই দাবি তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘তামাকের কারণে অসংক্রামক রোগ যেমন- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসরোগ, ক্যানসার, কিডনি রোগ এবং আঘাতজনিত রোগ ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টোব্যাকো এটলাস ২০২৫’ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩৫ জন মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। সে হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ৩৫৭টি প্রাণ ঝরে যাচ্ছে তামাকের কারণে।’

তারা আরও বলেন, ‘তামাক ব্যবহারজনিত কারণে প্রতিবছর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় ৩৯.২ হাজার কোটি টাকা প্রায়। তামাকের এই সর্বগ্রাসী আগ্রাসনকে তাই আমরা তামাক মহামারী হিসেবেই গণ্য করছি। এই মহামারী রোধকল্পে প্রয়োজন শক্তিশালী আইন। তাই আমরা অবিলম্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণাণলয় কর্তৃক প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের দাবি জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে ইয়ূথরা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ৬টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো—পাবলিক প্লেস এবং গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, তামাকপণ্যের খুচরা ও মোড়কবিহীন বিক্রয় বন্ধ করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, সিগারেট ও অন্যান্য তামাকপণ্যের প্যাকেটের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি করা এবং ই-সিগারেট বা ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মানববন্ধন শেষে ইয়ূথরা বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রে নারী মৈত্রীর আয়োজনে এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে। সেখানে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow