তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা কোথায়?

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। এই সংকটাপন্ন মুহূর্তে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কি না- এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। তবে মায়ের গুরুতর অসুস্থতার মধ্যেও দেশে ফেরার বিষয়ে ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর বিষয়টি আরও আলোচনায় এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা কোথায়। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান দেশে ফেরা নিয়ে এমন কথা জানান। এরপরেই দিনভর আলোচনা-সমালোচনার পর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, ‘তারেক রহমানের ফেসবুক স্ট্যাটাসেই সব ব্যাখ্যা রয়েছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই।’ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে পোস্টে বলেন, এ ব্যাপারে (তারেক রহমানের ফেরা) সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধি-নিষেধ অথবা কোনো ধরনের আপত্তি নাই। এদিকে শেখ হ

তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা কোথায়?

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। এই সংকটাপন্ন মুহূর্তে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কি না- এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। তবে মায়ের গুরুতর অসুস্থতার মধ্যেও দেশে ফেরার বিষয়ে ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর বিষয়টি আরও আলোচনায় এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা কোথায়।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান দেশে ফেরা নিয়ে এমন কথা জানান।

এরপরেই দিনভর আলোচনা-সমালোচনার পর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, ‘তারেক রহমানের ফেসবুক স্ট্যাটাসেই সব ব্যাখ্যা রয়েছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে পোস্টে বলেন, এ ব্যাপারে (তারেক রহমানের ফেরা) সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধি-নিষেধ অথবা কোনো ধরনের আপত্তি নাই।

এদিকে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ আমলে এবং তার আগে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দায়ের হওয়া সব মামলা থেকে আইনি প্রক্রিয়াতেই অব্যাহতি পান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান।

পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বিএনপির দিক থেকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা ও অস্ত্রে লাইসেন্সের আবেদনের খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। ফলে মামলা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে তার দেশে ফিরতে দৃশ্যত কোনো বাধা ছিল না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ফেসবুকে তারেক রহমান যা বলেছেন তাতে মনে হয় দেশে আসার বিষয়টি তার নিজের ওপর নির্ভর করে না এবং আরও অনেক ফ্যাক্টর আছে যার ওপর তার নিয়ন্ত্রণ নেই।

আরও পড়ুন:

তিনি আরও বলেন, ১/১১ এর সময়ে কিছু ব্যাপার ছিল। তারেক রহমান এক ধরনের মুচলেকা দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়াও বলেছিলেন যে- তারেক লন্ডনে পড়ালেখা করবেন, রাজনীতি করবে না। আমরা জানি না সেই অঙ্গীকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে কি না। তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়েছেন কি না তাও পরিষ্কার না।

এদিকে বাংলাদেশ বড় দুটি দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে একটি অগণতান্ত্রিক তৎপরতা রয়েছে- শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন মন্তব্য এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার পর ‘মাইনাস টু ফর্মুলার’ বিষয়টিও অনেকের আলোচনায় আসছে।

এ বিষয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাইনাস টু’ নিয়ে যত কথা বলি না কেন- তখন আসলে এজেন্ডা ছিল মাইনাস ফোর। সেটা ছিল দুই পরিবারের ধারাবাহিক শাসনের বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেওয়া। এর মধ্যে একটা মাইনাস হয়ে গেছে (শেখ হাসিনা পরিবার)। বাকি অর্ধেকের মধ্যে খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে নিষ্ক্রিয়। ফলে বাকি থাকলেন তারেক রহমান। তবে তারেক রহমানের দেশে ফেরার অনিশ্চয়তা শেষ পর্যন্ত মাইনাস ফোর-এ গড়ায় কি না সেটি সময়েই জানা যাবে।

তবে নির্বাচনের তফসিল হলে পরিস্থিতি যেমনই হোক দেশে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন এবং তিনিই নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেবেন বলে বিএনপি কয়েকজন নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এনএইচআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow