তারেক রহমানের সংবর্ধনা ঘিরে জামায়াতে ইসলামীর শঙ্কা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সতর্ক ও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। বুধবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, তপশিল ঘোষণার পর আমিরের নির্দেশনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জামায়াত সারাদেশে পোস্টার ও ব্যানার সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু একই সময়ে অন্যান্য পক্ষের আচরণবিধি লঙ্ঘনের নজির চোখে পড়ছে। জুবায়েরের ভাষ্য অনুযায়ী, শুধু মাঠপর্যায়ে নয়, ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আচরণবিধি ভাঙার ঘটনা ঘটছে। এসব অনিয়ম দ্রুত বন্ধে নির্বাচন কমিশনের কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন। তিনি জানান, কমিশনের কাছে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে। বৈঠকে জামায়াত ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবিও জোরালোভাবে তোলে। জুবায়ের বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে সন্ত্রাসী ও অসাধু চক্রের তৎপরতা কমবে

তারেক রহমানের সংবর্ধনা ঘিরে জামায়াতে ইসলামীর শঙ্কা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সতর্ক ও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বুধবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, তপশিল ঘোষণার পর আমিরের নির্দেশনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জামায়াত সারাদেশে পোস্টার ও ব্যানার সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু একই সময়ে অন্যান্য পক্ষের আচরণবিধি লঙ্ঘনের নজির চোখে পড়ছে।

জুবায়েরের ভাষ্য অনুযায়ী, শুধু মাঠপর্যায়ে নয়, ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আচরণবিধি ভাঙার ঘটনা ঘটছে। এসব অনিয়ম দ্রুত বন্ধে নির্বাচন কমিশনের কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন। তিনি জানান, কমিশনের কাছে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে।

বৈঠকে জামায়াত ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবিও জোরালোভাবে তোলে। জুবায়ের বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে সন্ত্রাসী ও অসাধু চক্রের তৎপরতা কমবে এবং ভোটাররা ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে জানান তিনি।

সাম্প্রতিক কিছু সহিংস ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে জামায়াত প্রতিনিধি দল জনমনে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। পাশাপাশি দলটির শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনী সফরে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈষম্য দূরের আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া একটি বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অর্থ ও বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অভিযোগ তুলে জামায়াত এটিকে সরাসরি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলছে বলেও অভিযোগ করে দলটি। তাদের দাবি, বর্তমানে মাত্র কয়েক লাখ প্রবাসী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন, যা মোট প্রবাসী জনসংখ্যার তুলনায় অত্যন্ত কম। এই প্রক্রিয়া দ্রুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৩ জানুয়ারি জামায়াতের নির্ধারিত জনসভা আচরণবিধি মেনেই অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান জুবায়ের। তিনি বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই কর্মসূচিটি আয়োজন করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow