দরজা আটকে বসতঘরে আগুন, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা ৮ জনের

চট্টগ্রামের রাউজানে গভীর রাতে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুটি পরিবারের বসতঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টিন ও বাঁশের বেড়া কেটে বের হয়ে দুই পরিবারের আট সদস্য অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৪টার দিকে রাউজান পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সুলতানপুর গ্রামে। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে উপজেলার ৩টি এলাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেসব ঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে, সেসবের প্রতিটিই হিন্দু পরিবারের। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পর কেরোসিন লাগানো কাপড় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের নাম-মোবাইল নম্বরসহ হাতে লেখা কাগজ জব্দ করেছে পুলিশ। ধারাবাহিক এসব ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার গভীর রাতের ঘটনায় আগুনে পুড়ে যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সুখ শীল ও অনিল শীলের ৪টি কক্ষ। সুখ শীল দুবাই প্রবাসী এবং অনিল শীল পেশায় দিনমজুর। টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মিত ঘরগুলোতে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ আগুন লাগলে বের হতে গিয়ে তারা দেখেন, ঘরের দরজায় বাইরে থেকে হুক (লক) লাগানো। পরে টিন ও বাঁশের বে

দরজা আটকে বসতঘরে আগুন, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা ৮ জনের

চট্টগ্রামের রাউজানে গভীর রাতে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুটি পরিবারের বসতঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টিন ও বাঁশের বেড়া কেটে বের হয়ে দুই পরিবারের আট সদস্য অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৪টার দিকে রাউজান পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সুলতানপুর গ্রামে।

এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে উপজেলার ৩টি এলাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেসব ঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে, সেসবের প্রতিটিই হিন্দু পরিবারের। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পর কেরোসিন লাগানো কাপড় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের নাম-মোবাইল নম্বরসহ হাতে লেখা কাগজ জব্দ করেছে পুলিশ। ধারাবাহিক এসব ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার গভীর রাতের ঘটনায় আগুনে পুড়ে যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সুখ শীল ও অনিল শীলের ৪টি কক্ষ। সুখ শীল দুবাই প্রবাসী এবং অনিল শীল পেশায় দিনমজুর। টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মিত ঘরগুলোতে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ আগুন লাগলে বের হতে গিয়ে তারা দেখেন, ঘরের দরজায় বাইরে থেকে হুক (লক) লাগানো।

পরে টিন ও বাঁশের বেড়া কেটে তারা বের হয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। আগুনে ঘরের আসবাব, কাপড়-চোপড়, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও টাকা পুড়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মিঠুন শীল মিঠু বলেন, ‘আমি একজন প্রবাসী। আগুনে আমার পাসপোর্টসহ ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীয় মালপত্র পুড়ে গেছে। এখন আমরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছি।’

খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সিরাজুল ইসলাম, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম রাহাতুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা এবং রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম। 
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দুটিকে ২৫ কেজি চাল, নগদ ৫ হাজার টাকা ও কম্বল দেওয়া হয়।

রাউজান থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে দরজা বন্ধ করে আগুন দেওয়া হয়েছে। দুর্বৃত্তদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।’

এ নিয়ে রাউজানের ইউএনও এস এম রাহাতুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাইকে সতর্ক করেছি। পাড়া-মহল্লায় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা এখন থেকে পাহারার ব্যবস্থা করবে।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারব এগুলো কেন হচ্ছে।’

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow