দিনাজপুরে মাঠেই ৬৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু
দিনাজপুরে আগাম জাতের নতুন আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে উৎপাদিত নতুন আলু ক্ষেত থেকেই ৬৮ টাকা কেজি হিসেবে পাইকাররা কিনে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা। এদিকে নতুন আলুর চাহিদা এবং দাম ভালো থাকায় লাভবান হওয়ার আশায় কৃষকরা আগাম আলু উত্তোলন শুরু করেছে। এবার দিনাজপুর ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে। এখন যে আগাম জাতের নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে তা পরিপক্ব নয়। জানা গেছে, চলতি বছর জমি থেকেই নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। তবে গত বছর ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে আলু কিনছে পাইকাররা। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাক কেজি দরে। যদিও এ আলু সাত দিন আগেও বাজারে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজি। তবে চাষিরা গতবারের তুলনায় এবছর মৌসুমের শুরুতে আলুর দাম কম পাচ্ছেন দাবি কৃষকদের। কৃষকরা বলছে, এবার বীজ আলুর দাম কম থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আলুর ফলন ভালো হয়নি। তাই খুব বেশি লাভ হবে না, ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আলু উত্তোলন শুরু হওয়ার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আলু ব্যবসায়ীরা এসে এলাকার কৃষকের জমি থেকেই আলু ক্রয় করছেন। তারা প্রকার ভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা ক
দিনাজপুরে আগাম জাতের নতুন আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে উৎপাদিত নতুন আলু ক্ষেত থেকেই ৬৮ টাকা কেজি হিসেবে পাইকাররা কিনে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।
এদিকে নতুন আলুর চাহিদা এবং দাম ভালো থাকায় লাভবান হওয়ার আশায় কৃষকরা আগাম আলু উত্তোলন শুরু করেছে। এবার দিনাজপুর ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে। এখন যে আগাম জাতের নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে তা পরিপক্ব নয়।
জানা গেছে, চলতি বছর জমি থেকেই নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। তবে গত বছর ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে আলু কিনছে পাইকাররা। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাক কেজি দরে। যদিও এ আলু সাত দিন আগেও বাজারে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজি। তবে চাষিরা গতবারের তুলনায় এবছর মৌসুমের শুরুতে আলুর দাম কম পাচ্ছেন দাবি কৃষকদের।
কৃষকরা বলছে, এবার বীজ আলুর দাম কম থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আলুর ফলন ভালো হয়নি। তাই খুব বেশি লাভ হবে না, ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।
আলু উত্তোলন শুরু হওয়ার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আলু ব্যবসায়ীরা এসে এলাকার কৃষকের জমি থেকেই আলু ক্রয় করছেন। তারা প্রকার ভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে কৃষকদের কাছ থেকে নতুন আলু কিনছেন। এই আলু ট্রাকে লোড করে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে নিয়ে যাচ্ছেন।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (শস্য) মো. আনিছুজ্জামান বলেন, এবার দিনাজপুরে ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এরমধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। বাজারে আগাম আলু উঠতে শুরু করেছে। তবে ১৫ ডিসেম্বরের পরে প্রায় সব আগাম আলু উত্তোলনের উপযোগী হয়ে যাবে। এবার আবহাওয়ার কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টির পানি জমে আগাম আলুর ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। প্রতি বছর দিনাজপুরের কৃষক আগাম আলু চাষ করে লাভবান হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে তাদের। তাই আলু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগাম আলু তোলারপর ওই জমিতে ভুট্টা রোপণ করেন তারা। এতে ফসল আবর্তনের মাধ্যমে জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কুয়াচ্ছন্ন সকালে একদল নারী শ্রমিক জমি থেকে আলু উত্তোলন করছেন। কেউ মাটি খুঁড়ছেন, কেউ আলু কুড়িয়ে ডালায় রাখছেন, কেউ বস্তা ভরছেন। কোথাও আবার ডিজিটাল মিটারে চলছে ওজন পরিমাপের কাজ। পরে সেখান থেকে আলুগুলো ভর্তি করা হচ্ছে গাড়িতে। দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এসে জমি থেকে আলু উত্তোলনের পর মাঠেই ওজন শেষে বস্তা করে কৃষকদের মূল্য পরিশোধ করে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকরা আগাম আলু তোলারপর ওইসব জমিতে ভুট্টা রোপণ করবে।
সদর উপজেলার আলু চাষি জুয়েল ইসলাম বলেন, আমি দুই বিঘা মাটিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছিলাম, পাইকার এসে ক্ষেত থেকেই ৬৮ টাকা কেজি হিসেবে আলু কিনে নিয়ে গেছে। তবে গতবারের চেয়ে এবার দাম কম।
ফুলবাড়ী উপজেলার আলু চাষি আমিনুল ইসলাম জানান, এবার ৭ বিঘা জমিতে ক্যারেজ জাতের আলু চাষ করেছি। আলু তোলার পর ৫৬ টাকা কেজি দরে জমি থেকেই পাইকাররা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি হবার কারণে জমিতে পানি জমে কিছু আলু নষ্ট হয়ে গেছে। গতবারের তুলনায় এবার দামও কম তাই খুব বেশি লাভ হবে না।
কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, ২ বিঘা জমিতে ক্যারেজ জাতের আলু চাষ করেছি। কয়েক দিনের মধ্যেই আলু উত্তোলন শুরু করবো। এবার বীজের দাম কম থাকায় কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
আলু ব্যবসায়ী মনছুর আলী জানান, আলু কিনতে জমিতে এসেছি। প্রতি কেজি ক্যারেজ জাতের আলু ৬৫টাকা দরে কিনছি। এই আলু জমি থেকে বস্তা করে ট্রাকে লোড দিয়ে ঢাকা নিয়ে যাবো।
আরেক ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা জমি থেকে আলু ক্রয় করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে পাইকারি বিক্রি করি। বর্তমানে নতুন আলুর চাহিদা বেশি। এ এলাকায় আলুর আবাদ বেশি হয় তাই আলু কিনতে এসেছি।
এদিকে শহরের বাহাদুর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল, মাহাবুবুর রহমান ও আব্দুল খলিল বলেন, গত ৭ থেকে ৮ দিন থেকে বাজারে নতুন আলু আসছে। প্রথমের দিকে আমরা ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছিলাম। বর্তমানে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
এমদাদুল হক মিলন/এনএইচআর/এমএস
What's Your Reaction?