দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবক হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দল এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের ময়মনসিংহে নিহত দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার বিচার দাবি করে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে এবং এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রতিবাদকারীরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন। বিক্ষোভের সময় ‘বিচার চাই’ ও ‘হিন্দু হত্যা বন্ধ চাই’ এমন স্লোগান শোনা যায়। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যে জানা যায়, নিহত দীপু চন্দ্র দাস (২৫) ময়মনসিংহের বালুকায় গত ১৮ ডিসেম্বর একদল লোকের হামলায় প্রাণ হারান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এদিকে, বাংলাদেশ সরকার ভারতে নিজেদের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা ও বিক্ষোভের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবক হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দল এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয়।

বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের ময়মনসিংহে নিহত দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার বিচার দাবি করে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে এবং এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

প্রতিবাদকারীরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন। বিক্ষোভের সময় ‘বিচার চাই’ ও ‘হিন্দু হত্যা বন্ধ চাই’ এমন স্লোগান শোনা যায়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যে জানা যায়, নিহত দীপু চন্দ্র দাস (২৫) ময়মনসিংহের বালুকায় গত ১৮ ডিসেম্বর একদল লোকের হামলায় প্রাণ হারান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

এদিকে, বাংলাদেশ সরকার ভারতে নিজেদের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা ও বিক্ষোভের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব।

অন্যদিকে ভারত সরকার জানিয়েছে, দিল্লির বিক্ষোভ ছিল স্বল্পস্থায়ী এবং এতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি। তবে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি
 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow