দুই দিনেই শেষ অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট

দুই দলের বোলারদের দাপটে দুই দিনেই শেষ হয়ে গেল অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট। ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ রানে অল আউট করে ২০৫ রানের লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়ার। লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটের জয় পায় অজিরা। পার্থের বোলারদের রাজত্বে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন ট্রাভিস হেড। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ১৪৮ স্ট্রাইক রেটে খেলেন ৮৩ বলে ১২৩ রানের ইনিংস। ১৬ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। উদ্বোধনী জুটিতে জেক ওয়েদারহের্লান্ডের সঙ্গে ৭৯ রান যোগ করেন হেড। ২৩ রান করে দলীয় ৭৫ রান জেক বিদায় নেন ব্রাইডন কার্সের বলে। এরপর ১১৭ রানের জুটি গড়েন হেড ও মারনাস লাবুশেন। এই জুটিও ভাঙেন কার্স। ১২৩ রান করে হেড বিদায় নেন ওলি পোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে। জয় থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে হেড আউট হন। বাকি কাজটুকু সেরে নেন লাবুশেন ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। লাবুশেন অর্ধশতক আদায় করে ৫১ ও ২ রানে অপরাজিত ছিলেন স্মিথ। প্রথম দিন ১৯ উইকেটের পর দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত পতন হয়েছে ১১ উইকেটের। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রানে অলআউট করে ৪০ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছে

দুই দিনেই শেষ অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট

দুই দলের বোলারদের দাপটে দুই দিনেই শেষ হয়ে গেল অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট। ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ রানে অল আউট করে ২০৫ রানের লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়ার। লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটের জয় পায় অজিরা।

পার্থের বোলারদের রাজত্বে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন ট্রাভিস হেড। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ১৪৮ স্ট্রাইক রেটে খেলেন ৮৩ বলে ১২৩ রানের ইনিংস। ১৬ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি।

উদ্বোধনী জুটিতে জেক ওয়েদারহের্লান্ডের সঙ্গে ৭৯ রান যোগ করেন হেড। ২৩ রান করে দলীয় ৭৫ রান জেক বিদায় নেন ব্রাইডন কার্সের বলে। এরপর ১১৭ রানের জুটি গড়েন হেড ও মারনাস লাবুশেন। এই জুটিও ভাঙেন কার্স। ১২৩ রান করে হেড বিদায় নেন ওলি পোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে। জয় থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে হেড আউট হন।

বাকি কাজটুকু সেরে নেন লাবুশেন ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। লাবুশেন অর্ধশতক আদায় করে ৫১ ও ২ রানে অপরাজিত ছিলেন স্মিথ।

প্রথম দিন ১৯ উইকেটের পর দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত পতন হয়েছে ১১ উইকেটের। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রানে অলআউট করে ৪০ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারীরা। এতে লিড দাঁড়ায় ২০৪। আর অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ২০৫ রান।

ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন লেট অর্ডারে নামা গাস অ্যাটকিনসন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ওলি পোপ। ২৮ রান করেছেন বেন ডাকেট। ৬ ব্যাটার পেরোতে পারেনি দুই অঙ্কের ঘর।

বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা করেন মিচেল স্টার্ক। কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই তুলে নেন জ্যাক ক্রলিকে। এরপর স্কট বোল্যান্ড ফেরান বেন ডাকেট, ওলি পোপ, ও হ্যারি ব্রুককে। ৭৬ রানে পতন হয় ৪ উইকেটের।

এরপর আবারও আক্রমণ করেন স্টার্ক। বোল্ড করে ফেরান ৮ রান করা জো রুটকে। স্টার্কের তোপে পড়ে ২ রানের বেশি করতে পারেননি বেন স্টোকস। ৮৮ রানে ইংলিশরা হারায় ৬ উইকেট।

জেমি স্মিথ (১৫), ব্রাইডন কার্স (২০) ও জোফরা আর্চারকে (৫) তুলে নেন ডগেট। ১৬০ রানে ৯ উইকেট হারানো সফরকারীদের ততক্ষণে ২০০ রানের লিড হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা গাস অ্যাটকিনসনকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে ১৬৪ রানে অলআউট করেন স্কট বোল্যান্ড। এতে লিড দাঁড়ায় ২০৪ রান।

দ্বিতীয় ইনিংসে স্কট বোল্যান্ড সর্বোচ্চ ৪টি, ৩টি করে মিচেল স্টার্ক ও ডগেট।

এর আগে, পার্থে ১৯ উইকেটের প্রথম দিন শেষে লিড পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল ইংল্যান্ডের। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সেটাই বাস্তবে রূপ নেয়। ৯ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার শেষ উইকেটটি দ্বিতীয় দিন ৩২ বলের মধ্যেই তুলে নেয় ইংলিশরা।

ব্রাইডন কার্সের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নাথান লায়ন (৪)। ফলে ১৩২ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। ১৭২ রানে অলআউট হয়েও বোলারদের নৈপুণ্যে ৪০ রানের লিড পেয়েছে ইংল্যান্ড। ব্রেন্ডন ডগেট অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে।

বেন স্টোকস সর্বোচ্চ ৫ উইকেট পেয়েছেন। ৩টি উইকেট ব্রাইডন কার্স ও দুটি উইকেট গেছে জোফরা আর্চারের ঝুলিতে।

আইএন/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow