দুমকির অবৈধ ‘ফেমাস ব্রিকস’ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন

পটুয়াখালীর দুমকিতে লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী সন্তোষদী এলাকায় খাস ও ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ‘ফেমাস ব্রিকস’ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজন বসাকের নেতৃত্বে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভেকু মেশিন দিয়ে পুরো স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। অভিযানে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা সহযোগিতা করেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ বিধিমালা উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ইট উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছিল ‌‘ফেমাস ব্রিকস’। অভিযানের সময় চিমনি, চুল্লি থেকে শুরু করে গোটা ভাটার সব কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়। কাঁচা ইটগুলোতে পানি ছিটিয়ে নষ্ট করে দেয় ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয়রা জানান, গত বছর একই ইটভাটায় অভিযান চালাতে গেলে ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা প্রশাসনের ওপর হামলা চালান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল আকতার নিলয়ের নেতৃত্বাধীন টিমকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ভেকু চালককে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় তখন অভিযান স্থগিত করতে বাধ্য হন কর্মকর্তারা। আংশিক উচ্ছেদের পরও ভাটা মালিকরা পুনরায় অবৈধভাবে ইট উৎপাদন শুরু

দুমকির অবৈধ ‘ফেমাস ব্রিকস’ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন

পটুয়াখালীর দুমকিতে লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী সন্তোষদী এলাকায় খাস ও ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ‘ফেমাস ব্রিকস’ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজন বসাকের নেতৃত্বে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসময় ভেকু মেশিন দিয়ে পুরো স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। অভিযানে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ বিধিমালা উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ইট উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছিল ‌‘ফেমাস ব্রিকস’। অভিযানের সময় চিমনি, চুল্লি থেকে শুরু করে গোটা ভাটার সব কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়। কাঁচা ইটগুলোতে পানি ছিটিয়ে নষ্ট করে দেয় ফায়ার সার্ভিস।

jagonews24

স্থানীয়রা জানান, গত বছর একই ইটভাটায় অভিযান চালাতে গেলে ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা প্রশাসনের ওপর হামলা চালান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল আকতার নিলয়ের নেতৃত্বাধীন টিমকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ভেকু চালককে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় তখন অভিযান স্থগিত করতে বাধ্য হন কর্মকর্তারা।

আংশিক উচ্ছেদের পরও ভাটা মালিকরা পুনরায় অবৈধভাবে ইট উৎপাদন শুরু করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জেলা প্রশাসন এবার পুনরায় অভিযান চালিয়ে সম্পূর্ণভাবে ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজন বসাক বলেন, পরিবেশ, কৃষিজমি ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মাহমুদ হাসান রায়হান/এসআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow