দেশের ক্রান্তিকাল কাটাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরার আহ্বান সালামের

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেছেন, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনো ক্রান্তিকাল থেকে বের হতে পারেনি, কারণ মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তা পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।   রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সালাম বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে ‘ক্রান্তিকাল’ শব্দটি শুনে আসছে মানুষ, কিন্তু সেই সময় আর কাটছে না। যদি মুক্তিযুদ্ধের মূল আদর্শ বাস্তবায়ন হতো, তাহলে আজ এই সংকট থাকত না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া স্বল্প সময়ের মধ্যে সেই আদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। সামনে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ক্রান্তিকাল থেকে বের হতে পারবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটিই হয়েছে, দ্বিতীয় কোনো মুক্তিযুদ্ধের ধারণা বিভ্রান্তিকর। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে অন্য কোনো কিছু তুলনা চলে না। যারা মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার চেষ্টা করছে বা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে, তাদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হব

দেশের ক্রান্তিকাল কাটাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরার আহ্বান সালামের

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেছেন, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনো ক্রান্তিকাল থেকে বের হতে পারেনি, কারণ মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তা পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
 
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সালাম বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে ‘ক্রান্তিকাল’ শব্দটি শুনে আসছে মানুষ, কিন্তু সেই সময় আর কাটছে না। যদি মুক্তিযুদ্ধের মূল আদর্শ বাস্তবায়ন হতো, তাহলে আজ এই সংকট থাকত না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া স্বল্প সময়ের মধ্যে সেই আদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। সামনে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ক্রান্তিকাল থেকে বের হতে পারবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটিই হয়েছে, দ্বিতীয় কোনো মুক্তিযুদ্ধের ধারণা বিভ্রান্তিকর। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে অন্য কোনো কিছু তুলনা চলে না। যারা মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার চেষ্টা করছে বা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে, তাদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ভবিষ্যতের জন্য নির্ণায়ক। কোন শক্তি দেশের পক্ষে আর কোনো শক্তি বিপক্ষে তা জনগণের কাছে পরিষ্কার। তেল আর পানি যেমন এক হয় না, তেমনি দেশবিরোধী শক্তি ও জনগণের শক্তি এক হতে পারে না।

তিনি বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের একটি অতীত রয়েছে এবং সেই অতীত বিশ্লেষণ করেই জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। তার মতে, বারবার গণতন্ত্র সংকটে পড়লেও বিএনপিই তা পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখেছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাদাতা ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রবর্তক হিসেবে জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য।

বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ট্রানজিশনাল’ ও ঝুঁকিপূর্ণ সময় হিসেবে উল্লেখ করে আব্দুস সালাম বলেন, দেশ এখন এক ধরনের অপারেশন থিয়েটারে রয়েছে। এই সময় সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে না পারলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, ভয়ের কথা নয়, মানুষকে আশার কথা বলতে হবে। বিএনপিই দেশের মানুষকে সেই আশার আলো দেখাতে পারে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভবিষ্যতে একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন বলেও জানান তিনি।

আগামী ২৫ তারিখ ঢাকায় বিএনপির বড় কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন ঢাকায় সারা দেশের মানুষের ঢল নামবে এবং সেটি হবে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনার ইঙ্গিত।

আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow