দ্বিতীয় বিয়ে করে অপহরণ নাটক, মুক্তিপণ চাইলেন প্রথম স্ত্রীর কাছে

লুকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের পর টাকা জোগাড় করতে সাজান নিজেই নিজেকে অপহরণের নাটক। চার লাখ টাকা দাবি করেন প্রথম স্ত্রীর কাছে। তবে পরে পরিকল্পনা ভেস্তে যায় পুলিশের অভিযানে। মো. আবু হানিফ (৫৫) নামে ওই ব্যক্তিতে পুলিশের চার ঘণ্টার অভিযানে উদ্ধারের পর সামনে আসে এসব তথ্য। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। আবু হানিফ চট্টগ্রাম হাটহাজারী মির্জাপুর ইউনিয়ন চারিয়া গ্রামের মৃত মো. ইউসুফের ছেলে। পুলিশের কাছে নিজেকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর। তিনি জানান, চট্টগ্রাম হাটহাজারী মডেল থানায় করা জিডির সূত্র ধরে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুরাবুইজ্জা পাড়ায় অভিযান চালায়। সেখানকার একটি বাড়ি থেকে মো. আবু হানিফকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গত ১৩ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর চারিয়া কাজীপা

দ্বিতীয় বিয়ে করে অপহরণ নাটক, মুক্তিপণ চাইলেন প্রথম স্ত্রীর কাছে

লুকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের পর টাকা জোগাড় করতে সাজান নিজেই নিজেকে অপহরণের নাটক। চার লাখ টাকা দাবি করেন প্রথম স্ত্রীর কাছে। তবে পরে পরিকল্পনা ভেস্তে যায় পুলিশের অভিযানে। মো. আবু হানিফ (৫৫) নামে ওই ব্যক্তিতে পুলিশের চার ঘণ্টার অভিযানে উদ্ধারের পর সামনে আসে এসব তথ্য।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

আবু হানিফ চট্টগ্রাম হাটহাজারী মির্জাপুর ইউনিয়ন চারিয়া গ্রামের মৃত মো. ইউসুফের ছেলে। পুলিশের কাছে নিজেকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন।

শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম হাটহাজারী মডেল থানায় করা জিডির সূত্র ধরে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুরাবুইজ্জা পাড়ায় অভিযান চালায়। সেখানকার একটি বাড়ি থেকে মো. আবু হানিফকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

গত ১৩ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর চারিয়া কাজীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে হানিফ টেকনাফে এসে আত্মগোপনে যান। পরে নিজের ব্যবহৃত সব মোবাইল সিম বন্ধ করে তিনি নিখোঁজ হওয়ার নাটক সাজান।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, দীর্ঘ ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনে পারিবারিক কলহ তীব্র হয়ে ওঠায় প্রথম স্ত্রী খাদিজাকে কিছু না জানিয়ে গত ১৮ অক্টোবর তিনি টেকনাফের কুরাবুইজ্জা পাড়ার বিধবা সানজিদা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। নতুন সংসার টিকিয়ে রাখতে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যেই তিনি ‘অপহরণের গল্প’ তৈরি করেন।

মুক্তিপণ আদায়কে বিশ্বাসযোগ্য করতে হানিফ নিজের শ্যালক কাসিমকে (২৭) দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে সমুদ্রতীরবর্তী ঝাউবাগানে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। এরপর নির্যাতিত অবস্থার ভিডিও ধারণ করে পাঠানো হয় পরিবারের কাছে। এতে মুক্তিপণ হিসেবে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়।

উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও পাঁচটি সিম কার্ড জব্দ করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চার ঘণ্টায় সফল অভিযান হাটহাজারী থানায় করা জিডির তথ্য বিশ্লেষণ করে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ে হানিফের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর চার ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারের পর হানিফকে তার ভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়। পাশাপাশি পুরো ঘটনার বিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অবহিত করার পরামর্শ দিয়েছে টেকনাফ থানা পুলিশ।

জাহাঙ্গীর আলম/জেএএম/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow