ধান বিক্রি করতে আসা কৃষককে ফেরত পাঠানো যাবে না, নির্দেশ উপদেষ্টার

সরকারি গুদামে কোনো কৃষক ধান বিক্রির জন্য নিয়ে এলে তাকে ফেরত না পাঠাতে খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘কোনো কৃষক ধান বিক্রির জন্য নিয়ে এলে তাকে ফেরত দেওয়া যাবে না। শুধু ধানের আদ্রতার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।’ রোববার (২৩ নভেম্বর) আমন ও বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং দেশের খাদ্যনিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। খাদ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। এসময় ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু এদিক থেকে ব্যতিক্রম ছিল খাদ্য অধিদপ্তর। এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব সময়ই নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের মানুষের জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। চ্যালেঞ্জ কাউকে না কাউকে নিতে হয়। দেশের জন্য কাজ করাও গৌরবের। পুরস্কারপ্রাপ্ত খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তিনি অভিনন্দন জানান। আলী ইমাম মজুমদার জানান

ধান বিক্রি করতে আসা কৃষককে ফেরত পাঠানো যাবে না, নির্দেশ উপদেষ্টার

সরকারি গুদামে কোনো কৃষক ধান বিক্রির জন্য নিয়ে এলে তাকে ফেরত না পাঠাতে খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘কোনো কৃষক ধান বিক্রির জন্য নিয়ে এলে তাকে ফেরত দেওয়া যাবে না। শুধু ধানের আদ্রতার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।’

রোববার (২৩ নভেম্বর) আমন ও বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং দেশের খাদ্যনিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। খাদ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। এসময় ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু এদিক থেকে ব্যতিক্রম ছিল খাদ্য অধিদপ্তর। এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব সময়ই নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের মানুষের জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। চ্যালেঞ্জ কাউকে না কাউকে নিতে হয়। দেশের জন্য কাজ করাও গৌরবের। পুরস্কারপ্রাপ্ত খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তিনি অভিনন্দন জানান।

আলী ইমাম মজুমদার জানান, আমন মৌসুমের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা এরই মধ্যে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সর্বনিম্ন, কিন্তু সংগ্রহ করতে হবে সর্বোচ্চ। আমন মৌসুমের ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে সংগ্রহ অভিযান সফল করার জন্য নির্দেশনা দেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকার যখন চলে যাবে তখন নিয়ম অনুযায়ী যে পরিমাণ খাদ্য মজুত থাকার কথা, তার চেয়ে বেশি থাকবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে খাদ্য অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহের জন্য সচেষ্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা যত বেশি অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ করতে পারবো, সেটা আমাদের জন্য মঙ্গল। কারণ তাহলে খুব বেশি আমদানি করতে হবে না।’

কোনো গুদামে বস্তাবন্দি পচা চাল পাওয়া গেলে বরদাস্ত করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শাস্তি দেওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়। সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।’

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান। তিনি পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিগত বোরো মৌসুমে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি খাদ্য অধিদপ্তরের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক চেষ্টার ফলে সম্ভব হয়েছে। এজন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

এনএইচ/একিউএফ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow