নকিয়ার সঙ্গে বিপিসিএস কনসোর্টিয়াম সদস্যদের এসএলটিই চুক্তি সই

নকিয়ার সঙ্গে সাবমেরিন লাইন টার্মিনাল ইকুইপমেন্ট (এসএলটিই) সরবরাহের চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্যাবল সিস্টেম (বিপিসিএস) কনসোর্টিয়াম। এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজার-সিঙ্গাপুর সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই হয়। এটি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পের অগ্রগতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে। চুক্তিতে বিপিসিএস কনসোর্টিয়ামের পক্ষে সই করেন মেটাকোর সাবকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আমিনুল হাকিম, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আরিফ আল ইসলাম ও সিডিনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. মশিউর রহমান। নকিয়ার পক্ষে চুক্তিতে সই করেন নকিয়া ইন্ডিয়ার হেড অব সেলস ইউনিট প্রশান্ত মালকানি ও নকিয়ার সিনিয়র সেলস অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর সুমন প্রাসাদ। এ সময় নকিয়ার পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন নকিয়ার হেড অব এমার্জিং বিজনেস জিবিতেশ নায়াল, নকিয়ার মার্কেটিং ম্যানেজার রাহুল দেরওয়ানি, নকিয়ার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ আর ইসলাম ও নকিয়া বাংলা

নকিয়ার সঙ্গে বিপিসিএস কনসোর্টিয়াম সদস্যদের এসএলটিই চুক্তি সই

নকিয়ার সঙ্গে সাবমেরিন লাইন টার্মিনাল ইকুইপমেন্ট (এসএলটিই) সরবরাহের চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্যাবল সিস্টেম (বিপিসিএস) কনসোর্টিয়াম। এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজার-সিঙ্গাপুর সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই হয়। এটি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পের অগ্রগতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।

চুক্তিতে বিপিসিএস কনসোর্টিয়ামের পক্ষে সই করেন মেটাকোর সাবকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আমিনুল হাকিম, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আরিফ আল ইসলাম ও সিডিনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. মশিউর রহমান। নকিয়ার পক্ষে চুক্তিতে সই করেন নকিয়া ইন্ডিয়ার হেড অব সেলস ইউনিট প্রশান্ত মালকানি ও নকিয়ার সিনিয়র সেলস অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর সুমন প্রাসাদ।

এ সময় নকিয়ার পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন নকিয়ার হেড অব এমার্জিং বিজনেস জিবিতেশ নায়াল, নকিয়ার মার্কেটিং ম্যানেজার রাহুল দেরওয়ানি, নকিয়ার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ আর ইসলাম ও নকিয়া বাংলাদেশের হেড অব সেলস ক্রিস্টোফার স্যামুয়েল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার, ভারতে ফিনল্যান্ডের কূটনীতিক আনত্তি হেরলেভি, জাপান দূতাবাসের ডাইসুকি সুকাও এবং ম্যামি কোবাইশি।

অনুষ্ঠানে বিপিসিএস কনসোর্টিয়াম জানায়, বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে ৯ হাজার জিবিপিএস। ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথের চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে আনুমানিক ২০ হাজার জিবিপিএস এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে প্রায় ৫০ হাজার জিবিপিএস। এ চাহিদা মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের এই তিনটি সাবমেরিন ক্যাবল অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে উদ্যোক্তারা প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। আরও ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করে ২০২৬ সালের জুনের পর এই তিনটি বেসরকারি কোম্পানি কর্তৃক ৩ পেয়ার ক্যাবল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তারা আরও জানান, বর্তমানে আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের (আইটিসি) মাধ্যমে ভারত থেকে প্রায় ৬০ শতাংশের ও বেশি ব্যান্ডউইথ আসে। এতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ভারতে চলে যায়। সিঙ্গাপুর-কক্সবাজার রুটের নতুন এই ৩ পেয়ার ক্যাবল চালু হলে ভারতের ওপর নির্ভরতা কমবে এবং দেশ ব্যান্ডউইথে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাবে।

নকিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কম বিদ্যুৎ খরচে ও স্বল্প জায়গায় ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করা যায় বিধায় ডেটা সেন্টারের জায়গা কম লাগে। ফলে খুব সহজে নেটওয়ার্ক ম্যানেজ করা যাবে এবং সার্বিক ব্যয় হ্রাস পাবে। ফলে ভবিষ্যতে ব্যান্ডউইথের মূল্য কমে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট খরচ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। ক্যাবলের দুই প্রান্তেই নকিয়ার এসএলটিই ব্যবহৃত হচ্ছে যা উচ্চমানের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে দাবি করা হয়েছে।

ইএইচটি/এমএমকে

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow