নতুন মিস ইউনিভার্সকে ‘ভুয়া’ বললেন পদত্যাগ করা সেই বিচারক

মিস ইউনিভার্সের ৭৪ তম প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। এবার বিজয়ী হয়েছেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। নিজের দেশ ছাড়াও নানা দেশের মানুষ তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তবে তাকে ‘ভুয়া’ বলে বিতর্কের জন্ম দিলেন আসরের বিচারক প্যানেল থেকে পদত্যাগ করা লেবানিজ-ফরাসি সুরকার ওমর হারফুশ। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, ফলাফল ছিল পূর্বনির্ধারিত ছিল। ক্ষমতার প্রভাবে ফাতিমার জয় নিশ্চিত করা হয়েছে। হারফুশ দাবি করেন, মিস ইউনিভার্সের মালিক রাউল রোচা ও বিজয়ীর বাবার মধ্যে থাকা ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণেই এই কারচুপি হয়েছে। ফাইনালের কয়েক ঘণ্টা পর ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেন, ‘মিস মেক্সিকো একজন ভুয়া বিজয়ী। ফাইনালের আগেই জেনে গিয়েছিলাম, প্রতিযোগিতার মালিক রোচা ফাতিমাকে জেতাবেন।’ আরও পড়ুনমিস ইউনিভার্স মুকুট জিতলেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশযে প্রশ্নের জবাব দিয়ে মিস ইউনিভার্স হলেন ফাতিমামিস ইউনিভার্সের মঞ্চে আহত হয়ে আইসিইউতে জ্যামাইকান সুন্দরী আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করে হারফুশ জানান, রাউল রোচা ও তার ছেলে এক সপ্তাহ আগে দুবাইয়ে তার কাছে অনুরোধ করেছিলেন যেন তিনি ফাতিমাকে ভোট দেন। ব্যবসার সুবিধার কারণ দেখিয়ে তারা সেই দাবি করেছ

নতুন মিস ইউনিভার্সকে ‘ভুয়া’ বললেন পদত্যাগ করা সেই বিচারক

মিস ইউনিভার্সের ৭৪ তম প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। এবার বিজয়ী হয়েছেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। নিজের দেশ ছাড়াও নানা দেশের মানুষ তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তবে তাকে ‘ভুয়া’ বলে বিতর্কের জন্ম দিলেন আসরের বিচারক প্যানেল থেকে পদত্যাগ করা লেবানিজ-ফরাসি সুরকার ওমর হারফুশ।

তিনি অভিযোগ তুলেছেন, ফলাফল ছিল পূর্বনির্ধারিত ছিল। ক্ষমতার প্রভাবে ফাতিমার জয় নিশ্চিত করা হয়েছে।

হারফুশ দাবি করেন, মিস ইউনিভার্সের মালিক রাউল রোচা ও বিজয়ীর বাবার মধ্যে থাকা ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণেই এই কারচুপি হয়েছে। ফাইনালের কয়েক ঘণ্টা পর ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেন, ‘মিস মেক্সিকো একজন ভুয়া বিজয়ী। ফাইনালের আগেই জেনে গিয়েছিলাম, প্রতিযোগিতার মালিক রোচা ফাতিমাকে জেতাবেন।’

আরও পড়ুন
মিস ইউনিভার্স মুকুট জিতলেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ
যে প্রশ্নের জবাব দিয়ে মিস ইউনিভার্স হলেন ফাতিমা
মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে আহত হয়ে আইসিইউতে জ্যামাইকান সুন্দরী

আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করে হারফুশ জানান, রাউল রোচা ও তার ছেলে এক সপ্তাহ আগে দুবাইয়ে তার কাছে অনুরোধ করেছিলেন যেন তিনি ফাতিমাকে ভোট দেন। ব্যবসার সুবিধার কারণ দেখিয়ে তারা সেই দাবি করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই পুরো ঘটনার প্রমাণসহ বিস্তারিত ২০২৬ সালের মে মাসে এইচবিও’র এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হবে।’

হারফুশ অভিযোগ করেন, চূড়ান্ত রাউন্ডের আগেই একটি ‘গোপন কমিটি’ শীর্ষ ৩০ প্রতিযোগীকে বেছে রেখেছিল। এমনকি একজন প্রতিযোগীর সঙ্গে নির্বাচন কমিটির এক সদস্যের কথিত অবৈধ সম্পর্কের দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি। সেটি প্রতিযোগিতার নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ন করেছে বলে দাবি তার।

নতুন মিস ইউনিভার্সকে ‘ভুয়া’ বললেন পদত্যাগ করা সেই বিচারক

বিতর্কের মুখে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের (এমইউও) সভাপতি রাউল রোচা ভিডিও বার্তায় জানান, এসব ‘অমূলক মন্তব্যের’ জন্যই ওমর হারফুশকে বিচারক প্যানেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ওমরের আচরণ ‘বিয়ন্ড দ্য ক্রাউন’ নামের একটি দাতব্য প্রকল্পকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিল। রোচা প্রমাণ হিসেবে কয়েকটি টেক্সট মেসেজও প্রকাশ করেন।

হারফুশ অবশ্য পাল্টা দাবি করেন, রোচার সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক কথোপকথন’-এর কারণেই তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করেছেন।

এমইউও এক বিবৃতিতে হারফুশের সব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে। সংস্থাটি জানায়, প্রতিযোগিতার সব মূল্যায়ন স্বচ্ছ নিয়মে হয়েছে, কোনো ‘গোপন কমিটি’ বা অযাচিত প্রভাবের সুযোগই ছিল না। একইসঙ্গে তারা হারফুশের সঙ্গে সব আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং ব্র্যান্ডের ট্রেডমার্ক ব্যবহার না করার সতর্কবার্তা দিয়েছে।

২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডের ননথাবুরিতে অনুষ্ঠিত হয় ৭৪ তম মিস ইউনিভার্স। সেখানেই ফাতিমা বশ ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কজার থেইলভিগের কাছ থেকে মুকুট গ্রহণ করেন এবং মেক্সিকো থেকে চতুর্থবারের মতো এই শিরোপা দেশের হয়ে নিয়ে আসেন।

এলআইএ/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow