নতুন সিনেমা নিয়ে আইনি জটিলতায় রণবীর সিং

রোহিত শেঠির ‘সিংহাম অ্যাগেইন’সিনেমায় সবশেষ দেখা গিয়েছিল রণবীর সিংকে। বছরজুড়ে তার আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। সব প্রত্যাশা এখন স্পাই–অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’কে ঘিরে। আগামী ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও মাত্র এক সপ্তাহ আগেই বড় ধরনের আইনি জটিলতায় পড়েছে আদিত্য ধর পরিচালিত এই সিনেমা। রণবীর সিং অভিনীত ‘ধুরন্ধর’সিনেমার মুক্তি আটকে দিতে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর শহীদ মেজর মোহিত শর্মার মা–বাবা। তাদের অভিযোগ-পরিবারের অনুমতি ছাড়াই মেজরের জীবন ও গোপন অভিযানের গল্পকে সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে। তাই ‘ধুরন্ধর’র মুক্তি দ্রুত স্থগিতের আবেদন জানিয়েছেন তারা। টিজার প্রকাশের পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে ছিল সিনেমাটি। অতিরিক্ত রক্তারক্তি, হিংসাত্মক দৃশ্য এবং বিতর্কিত কিছু উপস্থাপন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত রণবীর সিংয়ের চরিত্রকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শহীদ মেজর মোহিত শর্মারের আদলে তৈরি করা হয়েছে কি না-তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। এমনকি ২০০০ সালের দিকে ছদ্মপরিচয়ে পাকিস্তানে মেজরের গোপন অভিযানের ঘটনাও নাকি উঠে এসেছে সিনেমায়। যদিও ধুরন্ধরের পরিচালক কখনো তা স্বীকার করেননি। মোহিত শর

নতুন সিনেমা নিয়ে আইনি জটিলতায় রণবীর সিং

রোহিত শেঠির ‘সিংহাম অ্যাগেইন’সিনেমায় সবশেষ দেখা গিয়েছিল রণবীর সিংকে। বছরজুড়ে তার আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। সব প্রত্যাশা এখন স্পাই–অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’কে ঘিরে। আগামী ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও মাত্র এক সপ্তাহ আগেই বড় ধরনের আইনি জটিলতায় পড়েছে আদিত্য ধর পরিচালিত এই সিনেমা।

রণবীর সিং অভিনীত ‘ধুরন্ধর’সিনেমার মুক্তি আটকে দিতে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর শহীদ মেজর মোহিত শর্মার মা–বাবা। তাদের অভিযোগ-পরিবারের অনুমতি ছাড়াই মেজরের জীবন ও গোপন অভিযানের গল্পকে সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে। তাই ‘ধুরন্ধর’র মুক্তি দ্রুত স্থগিতের আবেদন জানিয়েছেন তারা।

টিজার প্রকাশের পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে ছিল সিনেমাটি। অতিরিক্ত রক্তারক্তি, হিংসাত্মক দৃশ্য এবং বিতর্কিত কিছু উপস্থাপন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত রণবীর সিংয়ের চরিত্রকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শহীদ মেজর মোহিত শর্মারের আদলে তৈরি করা হয়েছে কি না-তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। এমনকি ২০০০ সালের দিকে ছদ্মপরিচয়ে পাকিস্তানে মেজরের গোপন অভিযানের ঘটনাও নাকি উঠে এসেছে সিনেমায়। যদিও ধুরন্ধরের পরিচালক কখনো তা স্বীকার করেননি।

মোহিত শর্মার পরিবার পিটিশনে অভিযোগ করে বলেছে-সিনেমার গল্প মেজরের জীবনের সঙ্গে মিলে গেলেও নির্মাতারা স্বীকৃতি দেননি। ভারতীয় সেনাবাহিনী কিংবা বৈধ উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি ছাড়াই তার জীবন, বীরত্বগাথা এবং আত্মত্যাগকে পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে-যা অত্যন্ত আপত্তিকর।

তাদের দাবি-একজন শহীদ সৈনিককে কোনোভাবেই বাণিজ্যিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। পরিবারের অনুমতি ছাড়া একজন বীরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সিনেমা বানানোর অধিকার কারও নেই।

আরও পড়ুন:
ধর্মেন্দ্রর অগাধ সম্পত্তি রেখে যা চাইলেন তার মেয়ে অহনা
দুবাইয়ে ঋতুপর্ণার নাচ, সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের ঝড়

এদিকে পরিচালক আদিত্য ধর বলেন, “রণবীরের চরিত্রের সঙ্গে মেজর মোহিত শর্মারের কোনো মিল নেই। ‘ধুরন্ধর’ তার জীবন থেকে উদ্বুদ্ধও নয়। ভবিষ্যতে যদি কখনো মেজরের বায়োপিক করি, অবশ্যই পরিবারের অনুমতি নিয়েই করব।”

জটিলতার জেরে ‘ধুরন্ধর’ নির্ধারিত সময়ে মুক্তি পাবে কি না, তা এখন আদালতের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে।

এমএমএফ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow