নবীজিকে (সা.) স্বপ্নে দেখার ৩ আমল
ঘুম মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সারাদিনের পরিশ্রম, দৌড়ঝাঁপ আর মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ ঘুমের মধ্যে প্রশান্তি খুঁজে পায়। ইসলামে ঘুমকে শুধু শরীরের বিশ্রাম নয়, বরং আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, রাত্রিকে করেছি আবরণ’। (সুরা নাবা : ৯-১০) মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তার আত্মা দেহ থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এক রহস্যময় জগতে প্রবেশ করে। সেখানেই মানুষ স্বপ্নের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখে, অনুভব করে, আবার ভুলেও যায়। তবে প্রতিটি মুমিন হৃদয়ই নবী করিম (সা.)-এর ভালোবাসায় সিক্ত থাকে। তাই তারা স্বপ্নে সাধারণ কিছুর চেয়ে প্রিয় রাসুলকে (সা.) দেখার আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকে। কারণ নবীজির (সা.) সঙ্গে স্বপ্নযোগে সাক্ষাৎ মুমিনের জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়। আর যারা স্বপ্নে নবীজির (সা.) সাক্ষাৎ পান, তারাও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। স্বপ্নে নবীজিকে (সা.) দেখা মানে সত্যিই নবীজিকে (সা.) দেখা। কেননা শয়তান নবীজির (সা.) আকৃতি ধারণ করতে পারে না। হাদিসে তিনি (সা.) বলেছেন, যে স্বপ্নে আমাকে দেখল সে আমাকেই দেখল।
ঘুম মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সারাদিনের পরিশ্রম, দৌড়ঝাঁপ আর মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ ঘুমের মধ্যে প্রশান্তি খুঁজে পায়। ইসলামে ঘুমকে শুধু শরীরের বিশ্রাম নয়, বরং আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, রাত্রিকে করেছি আবরণ’। (সুরা নাবা : ৯-১০)
মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তার আত্মা দেহ থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এক রহস্যময় জগতে প্রবেশ করে। সেখানেই মানুষ স্বপ্নের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখে, অনুভব করে, আবার ভুলেও যায়।
তবে প্রতিটি মুমিন হৃদয়ই নবী করিম (সা.)-এর ভালোবাসায় সিক্ত থাকে। তাই তারা স্বপ্নে সাধারণ কিছুর চেয়ে প্রিয় রাসুলকে (সা.) দেখার আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকে। কারণ নবীজির (সা.) সঙ্গে স্বপ্নযোগে সাক্ষাৎ মুমিনের জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়। আর যারা স্বপ্নে নবীজির (সা.) সাক্ষাৎ পান, তারাও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী।
স্বপ্নে নবীজিকে (সা.) দেখা মানে সত্যিই নবীজিকে (সা.) দেখা। কেননা শয়তান নবীজির (সা.) আকৃতি ধারণ করতে পারে না। হাদিসে তিনি (সা.) বলেছেন, যে স্বপ্নে আমাকে দেখল সে আমাকেই দেখল। কেননা শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। (বোখারি : ৬৯৯৪)
আরেক হাদিসে এসেছে, যে আমাকে স্বপ্নে দেখল, শিগগিরই সে আমাকে জাগরণে দেখবে অথবা সে যেন আমাকে জাগরণেই দেখল। আর শয়তান আমার রূপ ধরতে পারে না। (মুসলিম : ২২৬৬)
এ ক্ষেত্রে অনেকেই জানতে চান, নবীজিকে (সা.) স্বপ্নে দেখার বিশেষ কোনো আমল আছে কি না। এ বিষয়ে ইসলামী স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, হাদিসের আলোকে নবীজিকে স্বপ্নে দেখার বিশেষ কোনো আমলের কথা আমরা জানি না। তবে অনেক নেককার আলেম রাসুলকে (সা.) স্বপ্নে দেখার বিশেষ ৩টি আমল বর্ণনা করেছেন।
সেগুলো হলো
১. অন্তরে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস ও ভালোবাসা ধারণ করা।
২. সঠিকভাবে সুন্নতের অনুসরণ।
৩. বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা এবং অজুসহ রাতে ঘুমানো (ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ২/২৩৪)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি আল্লাহর রাসুলকে (সা.) বলতে শুনেছেন, যে আমার ওপর একবার দরুদ পড়বে, বিনিময়ে মহান আল্লাহ তার ওপর দশটি রহমত নাজিল করবেন। (মুসলিম : ১/১৬৬)
আল্লামা শেখ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, জুমার রাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে প্রতি রাকাতে ১১ বার আয়াতুল কুরছি ও ১১ বার করে সুরা ইখলাছ পাঠ করার পর সালাম ফিরিয়ে নিচের দরুদ শরিফটি ১০০ বার করে ঘুমালে নবীজি (সা.)-কে স্বপ্নে দেখার আশা করা যায়।
দরুদটি হলো, ‘আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদানিন নাবিয়্যিল উম্মীয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াআসহাবিহি ওয়া সাল্লিম।’ (তরগিবাতুস সাআদাত)
এ ছাড়া জিয়াউল কুলুব কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, দুরাকাত নামাজের প্রতি রাকাতে ২৫ বার সুরা এখলাছ ও ১০০০ বার ‘সাল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যিল উম্মি’ পড়লে রাসুল (সা.)-এর দিদার নসিব হয়।
What's Your Reaction?