অক্টোবর মাসের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতা কমেছে। তবে আলোচ্য সময়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাসহ নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব অনেকাংশে বেড়েছে।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করে এই মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতার ৩৬টি ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩৯১ জন। তাদের মধ্যে ৭ জন নিহত হয়েছেন। অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ছিল ৫৮টি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চা খাওয়া, চিকিৎসায় অবহেলা, বাসে ওঠা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হামলা-পাল্টা হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও লুটপাটে জড়িয়ে পড়ছে। এ মাসে বিভিন্ন হাইস্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত চারটি বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে যেখানে আহত হয়েছেন প্রায় ২২২ জন শিক্ষার্থীসহ নারী ও শিশু।
নভেম্বরে ৩২টি ঘটনায় ৩১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নানাভাবে আক্রান্ত সাংবাদিকদের মধ্যে ১৮ জন সাংবাদিক তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত ও হামলার শিকার হয়েছেন।
নভেম্বরে বিভিন্ন পর্যায়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ২২টি ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সীমান্তে ৩ জন নিহত এবং কারা হেফাজতে ৬ জন মারা গেছেন।
নভেম্বর মাসে ৩২০টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৩২টি বেশি। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ২৯টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ৭টি, ধর্ষণ ও হত্যা ২টি। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী।
এসএম/এমএইচআর