নরসিংদীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

নরসিংদীর রায়পুরায় প্রান্তুষ সরকার (৪২) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্য করেছে দূর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীর দিঘিলিয়াকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রান্তুষ সরকার উপজেলার বাঁশগাড়ি গ্রামের সাধন সরকারের ছেলে। তিনি বাঁশগাড়ি বাজারে জুয়েলারি ব্যবসা করতেন। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন প্রান্তুষ সরকার। এসময় প্রান্তুষকে বাড়িতে এসে কথা বলার জন্য দুইজন লোক ডেকে নিয়ে যায়। পরে তারা দিঘিলিয়াকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রান্তুষকে নিয়ে গুলি করে। এসময় প্রান্তুষ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহতের ভাবী হেনা রাণী সরকার বলেন, দুইজন লোক এসে আমার দেবরকে ডেকে নিয়ে স্কুল মাঠে যায়। এদের একজনের মুখ খোলা থাকলেও আরেকজনের মুখ বাঁধা ছিলো। পরে আমিও কিছুক্ষণ পর দেবরের খোঁজে মাঠে যাই। যাওয়ার পরই তারা প্রান্তুষকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের কোন শত্রু নেই। যারা ডেকে নিয়

নরসিংদীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
নরসিংদীর রায়পুরায় প্রান্তুষ সরকার (৪২) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্য করেছে দূর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীর দিঘিলিয়াকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রান্তুষ সরকার উপজেলার বাঁশগাড়ি গ্রামের সাধন সরকারের ছেলে। তিনি বাঁশগাড়ি বাজারে জুয়েলারি ব্যবসা করতেন। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন প্রান্তুষ সরকার। এসময় প্রান্তুষকে বাড়িতে এসে কথা বলার জন্য দুইজন লোক ডেকে নিয়ে যায়। পরে তারা দিঘিলিয়াকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রান্তুষকে নিয়ে গুলি করে। এসময় প্রান্তুষ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহতের ভাবী হেনা রাণী সরকার বলেন, দুইজন লোক এসে আমার দেবরকে ডেকে নিয়ে স্কুল মাঠে যায়। এদের একজনের মুখ খোলা থাকলেও আরেকজনের মুখ বাঁধা ছিলো। পরে আমিও কিছুক্ষণ পর দেবরের খোঁজে মাঠে যাই। যাওয়ার পরই তারা প্রান্তুষকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের কোন শত্রু নেই। যারা ডেকে নিয়ে গেছে তাদের ও চিনি না। আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই। রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) প্রবীর কুমার ঘোষ বলেন, তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে চাঁদার জন্য হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার রহস্য উদ্ধারে ঘটনাস্থলের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে কাজ করছি। পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow