নাগরপুরে অপহরণকারী পাঁচ মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ১৪ বছর বয়সী এক নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো অপহৃতা উদ্ধার না হওয়ায় পরিবারের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। গত ২৮ জুলাই বিকেলে সুদামপাড়া মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তা থেকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মহিলা ইউপি সদস্যের ছেলে মো. জিহাদ (২০) জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মেয়েকে উদ্ধার করতে বাবা মো. সাদ্দাম হোসেন থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রকার সহযোগিতা পাননি। নিরুপায় হয়ে নাবালিকার নানা মো. আ. বাতেন বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।মামলার সূত্রে জানা যায়, সুদামপাড়া মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী তার নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে, কারণ তার মা প্রবাসী ও বাবা চাকরিজীবী। দেখতে সুন্দরী হওয়ায় পার্শ্ববর্তী গ্রাম খামার ধল্লার মহিলা ইউপি সদস্য শাহানাজ বেগমের বখাটে ছেলে জিহাদের সঙ্গে তার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। নাবালিকা হওয়ায় নানা আ. বাতেন বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এরপর ২৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে মাদকসেবী জিহাদ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সুদামপাড়া মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তা থেকে সিএনজি যো

নাগরপুরে অপহরণকারী পাঁচ মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ১৪ বছর বয়সী এক নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো অপহৃতা উদ্ধার না হওয়ায় পরিবারের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। গত ২৮ জুলাই বিকেলে সুদামপাড়া মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তা থেকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মহিলা ইউপি সদস্যের ছেলে মো. জিহাদ (২০) জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মেয়েকে উদ্ধার করতে বাবা মো. সাদ্দাম হোসেন থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রকার সহযোগিতা পাননি। নিরুপায় হয়ে নাবালিকার নানা মো. আ. বাতেন বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, সুদামপাড়া মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী তার নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে, কারণ তার মা প্রবাসী ও বাবা চাকরিজীবী। দেখতে সুন্দরী হওয়ায় পার্শ্ববর্তী গ্রাম খামার ধল্লার মহিলা ইউপি সদস্য শাহানাজ বেগমের বখাটে ছেলে জিহাদের সঙ্গে তার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। নাবালিকা হওয়ায় নানা আ. বাতেন বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এরপর ২৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে মাদকসেবী জিহাদ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সুদামপাড়া মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তা থেকে সিএনজি যোগে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

সংবাদ পেয়ে মেয়ের বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনরা জিহাদের বাড়ি গেলে ইউপি সদস্য শাহানাজ বেগম তাঁদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য মেয়ের বাবা সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশের কোনো প্রকার সহযোগিতা না পেয়ে টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ আদালতে ৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাদিয়া (১৪)-এর নানা আ. বাতেন মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে জানতে মহিলা ইউপি সদস্য শাহানাজ বেগমের বাড়িতে গিয়ে এবং তার মোবাইল নম্বরে (০১৭৪৫...২৯) যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow