নারীকে ধর্ষনের পর হত্যা; পিবিআই এর কাছে স্বীকারোক্তি আসামিদের

আখাউড়া পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পিঠা বিক্রেতা মর্জিনা বেগম (৪৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (পিবিআই)। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিট। আখাউড়া থানার মামলা নং–২৩,তারিখ ২৬ নভেম্বর বাদী নিহতের মেয়ে রহিমা আক্তার জানান,২৫ নভেম্বর ভোররাত-৩টার দিকে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ঘর থেকে বের হন তার মা। পরদিন বিকেল-৫টায় আখাউড়া পৌরসভা কার্যালয়ের পুরোনো টিনশেড ভবনের পাশে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। গলায় চাপের দাগ ও শরীরে আঘাত দেখে এটি হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হন তিনি। মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোস্তফা কামালের নির্দেশনায় এবং পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার শচীন চাকমার তত্ত্বাবধানে তদন্ত শুরু করেন এসআই (নিঃ) মোঃ আল-আমিন। সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তিনির্ভর তদন্তে বেরিয়ে আসে—কাঁচাবাজারের দারোয়ান শহিদুল ইসলাম (৪৩) নিজের ব্যবহৃত নম্বর ০১৯৪৯-২৬১১৫০ থেকে ‘মালের গাড়ি এসেছে’ বলে মর্জিনাকে ডেকে নেন। রাত ৩টা ১৮ মিনিটে তাকে বাজার পার হয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যেতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে শহিদুল প

নারীকে ধর্ষনের পর হত্যা;  পিবিআই এর কাছে স্বীকারোক্তি আসামিদের

আখাউড়া পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পিঠা বিক্রেতা মর্জিনা বেগম (৪৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (পিবিআই)। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিট। আখাউড়া থানার মামলা নং–২৩,তারিখ ২৬ নভেম্বর বাদী নিহতের মেয়ে রহিমা আক্তার জানান,২৫ নভেম্বর ভোররাত-৩টার দিকে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ঘর থেকে বের হন তার মা। পরদিন বিকেল-৫টায় আখাউড়া পৌরসভা কার্যালয়ের পুরোনো টিনশেড ভবনের পাশে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। গলায় চাপের দাগ ও শরীরে আঘাত দেখে এটি হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হন তিনি।

মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোস্তফা কামালের নির্দেশনায় এবং পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার শচীন চাকমার তত্ত্বাবধানে তদন্ত শুরু করেন এসআই (নিঃ) মোঃ আল-আমিন। সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তিনির্ভর তদন্তে বেরিয়ে আসে—কাঁচাবাজারের দারোয়ান শহিদুল ইসলাম (৪৩) নিজের ব্যবহৃত নম্বর ০১৯৪৯-২৬১১৫০ থেকে ‘মালের গাড়ি এসেছে’ বলে মর্জিনাকে ডেকে নেন। রাত ৩টা ১৮ মিনিটে তাকে বাজার পার হয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যেতে দেখা যায়।

ঘটনাস্থলে শহিদুল প্রথমে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে তার দুই সহযোগী হোসেন শফিক (৪০) এবং মোঃ রুমান মিয়া ধর্ষণের চেষ্টা করলে মর্জিনা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনজন মিলে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

২৬ নভেম্বর দুপুরে বিশেষ অভিযানে কাঁচাবাজার এলাকা থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

পিবিআই জানায়, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কৌশল, সময়, সিসিটিভির গতিবিধি ও প্রযুক্তিগত সব আলামত মিলিয়ে ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত হয়েছে। মামলার তদন্ত চলমান আছে, শিগগিরই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow