নারীদের প্রতি ডিজিটাল নিপীড়ন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি ডাকসুর

সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে পরিকল্পিত ডিজিটাল নিপীড়ন, কুৎসা রটনানো হচ্ছে তা বন্ধে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু)। বৃহস্পতিবার ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিন্দা জানিয়ে এই দাবি জানানো হয়েছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধি উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়া, ফাতিমা তাসনিম জুমা, সাবিকুননাহার তামান্না, আফসানা আক্তার, উম্মে সালমা, রাজনৈতিক সংগঠনসমূহের প্রতিনিধি তাসনিম জারা, নুসরাত তাবাসসুম, উমামা ফাতেমা, জাহিন বিশ্বাস এষা, সীমা আক্তারসহ একাধিক নারীকে টার্গেট করে এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির অংশগ্রহণে পরিচালিত এই ডিজিটাল নিপীড়ন ব্যক্তিগত মর্যাদাহানির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। এমন কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিষাক্ত করে তুলছে এবং রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে মারাত্মকভ

নারীদের প্রতি ডিজিটাল নিপীড়ন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি ডাকসুর

সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে পরিকল্পিত ডিজিটাল নিপীড়ন, কুৎসা রটনানো হচ্ছে তা বন্ধে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু)।

বৃহস্পতিবার ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিন্দা জানিয়ে এই দাবি জানানো হয়েছে।

এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধি উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়া, ফাতিমা তাসনিম জুমা, সাবিকুননাহার তামান্না, আফসানা আক্তার, উম্মে সালমা, রাজনৈতিক সংগঠনসমূহের প্রতিনিধি তাসনিম জারা, নুসরাত তাবাসসুম, উমামা ফাতেমা, জাহিন বিশ্বাস এষা, সীমা আক্তারসহ একাধিক নারীকে টার্গেট করে এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির অংশগ্রহণে পরিচালিত এই ডিজিটাল নিপীড়ন ব্যক্তিগত মর্যাদাহানির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।

এমন কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিষাক্ত করে তুলছে এবং রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে দাবি করে, রাজনীতিতে নারীদের নিরাপদ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং নারীদের বিরুদ্ধে চলমান সাইবার বুলিং, স্লাটশেমিং, এডিটেড ছবি ছড়ানোসহ যেকোনো ধরনের অনলাইন হয়রানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট নীতিমালা ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে, যেসব কর্মী নারীদের প্রতি অপমানজনক বা হয়রানিমূলক আচরণে লিপ্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে সংগাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ দাবি জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow