নাসিরনগরে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হাবিবা আক্তার নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত শিশুটি হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে শংকরাদহ গ্রামের মনুস মিয়ার ও জহুরা বেগম দম্পতির ছোট মেয়ে। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে মেয়ে হাবিবা অন্য বোনদের সঙ্গে বসে পড়ালেখা করছিল। এরই মধ্যে কেবা কারা শিশুটিকে ঘর থেকে বের হতে বলে। তখন শিশুটি ঘর থেকে বের হলে রাতে আর ঘরে ফেরেনি। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাইকে শিশু নিখোঁজের সংবাদ প্রচার করা হয়। পরদিন শিশুটির ঘরের পাশে একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর পুলিশে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে। শিক্ষার্থীর বাবা মনুস মিয়া বলেন, আমি মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নামাজে ছিলাম। হঠাৎ আমার স্ত্রী ফোন দিয়ে বলে হাবি

নাসিরনগরে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হাবিবা আক্তার নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত শিশুটি হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে শংকরাদহ গ্রামের মনুস মিয়ার ও জহুরা বেগম দম্পতির ছোট মেয়ে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে মেয়ে হাবিবা অন্য বোনদের সঙ্গে বসে পড়ালেখা করছিল। এরই মধ্যে কেবা কারা শিশুটিকে ঘর থেকে বের হতে বলে। তখন শিশুটি ঘর থেকে বের হলে রাতে আর ঘরে ফেরেনি। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাইকে শিশু নিখোঁজের সংবাদ প্রচার করা হয়। পরদিন শিশুটির ঘরের পাশে একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর পুলিশে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।

শিক্ষার্থীর বাবা মনুস মিয়া বলেন, আমি মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নামাজে ছিলাম। হঠাৎ আমার স্ত্রী ফোন দিয়ে বলে হাবিবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আজ সকালে মেয়ের লাশ পাই। কে বা কারা আমার মেয়েকে হত্যা করছে এটা জানি না। আমি এর বিচার চাই।

হরিপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সজল চন্দ্র দাস বলেন, আট বছরের একটি মেয়েকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করার পর হত্যা করছে। এর সঠিক বিচার চাই। আমাদের দাবি পুলিশ প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করে শাস্তি দিক।

নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করেছি। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow