নিজেদের শেষ করলেন সুরজ-জাহ্নবী দম্পতি

ভারতের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী সুরজ শিবান্না মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি হোটেলে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগে বেঙ্গালুরুতে আত্মহত্যা করেন স্ত্রী জাহ্নবী। টানা দুই আত্মহত্যার ঘটনায় দুই পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় গভীর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর এনডিটিভির।  গত শনিবার নাগপুরের ওয়ার্দা রোড এলাকার একটি হোটেলে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সুরজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার স্ত্রী জাহ্নবীর। গত ২৯ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে সুরজ ও জাহ্নবীর বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই দম্পতির জীবনে নেমে আসে এই মর্মান্তিক পরিণতি। বিয়ের পর তারা শ্রীলঙ্কায় হানিমুনে গিয়েছিলেন। সেখানে দাম্পত্য কলহের কারণে সফর সংক্ষিপ্ত করে গত সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে ফিরে আসেন তারা। জাহ্নবীর পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে তিনি অপমান ও অবহেলার শিকার হন। এসব ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার জাহ্নবী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। জাহ্নবীর মৃত্যুর পর তার পরিবার সুরজ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন

নিজেদের শেষ করলেন সুরজ-জাহ্নবী দম্পতি

ভারতের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী সুরজ শিবান্না মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি হোটেলে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগে বেঙ্গালুরুতে আত্মহত্যা করেন স্ত্রী জাহ্নবী। টানা দুই আত্মহত্যার ঘটনায় দুই পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় গভীর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর এনডিটিভির। 

গত শনিবার নাগপুরের ওয়ার্দা রোড এলাকার একটি হোটেলে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সুরজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার স্ত্রী জাহ্নবীর।

গত ২৯ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে সুরজ ও জাহ্নবীর বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই দম্পতির জীবনে নেমে আসে এই মর্মান্তিক পরিণতি। বিয়ের পর তারা শ্রীলঙ্কায় হানিমুনে গিয়েছিলেন। সেখানে দাম্পত্য কলহের কারণে সফর সংক্ষিপ্ত করে গত সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে ফিরে আসেন তারা।

জাহ্নবীর পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে তিনি অপমান ও অবহেলার শিকার হন। এসব ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার জাহ্নবী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।

জাহ্নবীর মৃত্যুর পর তার পরিবার সুরজ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে সুরজদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভও করেন তারা।

সুরজের ভাই সঞ্চয় শিবান্না নাগপুর পুলিশকে হোটেলে আত্মহত্যার ঘটনার বিষয়টি জানান। পুলিশ বলছে, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow