নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসক ফুটবল ম্যাচে মারামারি, আহত ২
নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসক আন্তঃউপজেলা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরিফ নামের এক খেলোয়াড়কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় জেলার মুক্তারপাড়া মাঠে সদর উপজেলা ও কেন্দুয়া উপজেলার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটেছে। আহত খেলোয়াড় আরিফ ও রবিনের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলায়। জানা গেছে, বিকেলে জেলা প্রশাসক আন্তঃউপজেলা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ছিল। ফাইনাল ম্যাচে অংশ নেয় কেন্দুয়া উপজেলা ফুটবল দল ও নেত্রকোনা সদর উপজেলা ফুটবল দল। ম্যাচটি শুরু থেকে উত্তেজনায় ভরপুর ছিল। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল সদর উপজেলা দল। হাফটাইমের পর কেন্দুয়া উপজেলা খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। শেষ মুহূর্তে ধারাবাহিক ফাউল নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সদর উপজেলার খেলোয়াড় শোয়েব ও কেন্দুয়ার আরিফের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই মাঠের চারদিকে থাকা উৎসুক দর্শকদের একটি অংশ মাঠে নেমে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এতে কেন্দুয়া উপজেলার দুই খেলোয়াড় আহ
নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসক আন্তঃউপজেলা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরিফ নামের এক খেলোয়াড়কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় জেলার মুক্তারপাড়া মাঠে সদর উপজেলা ও কেন্দুয়া উপজেলার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটেছে। আহত খেলোয়াড় আরিফ ও রবিনের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলায়।
জানা গেছে, বিকেলে জেলা প্রশাসক আন্তঃউপজেলা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ছিল। ফাইনাল ম্যাচে অংশ নেয় কেন্দুয়া উপজেলা ফুটবল দল ও নেত্রকোনা সদর উপজেলা ফুটবল দল। ম্যাচটি শুরু থেকে উত্তেজনায় ভরপুর ছিল। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল সদর উপজেলা দল। হাফটাইমের পর কেন্দুয়া উপজেলা খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। শেষ মুহূর্তে ধারাবাহিক ফাউল নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সদর উপজেলার খেলোয়াড় শোয়েব ও কেন্দুয়ার আরিফের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মুহূর্তেই মাঠের চারদিকে থাকা উৎসুক দর্শকদের একটি অংশ মাঠে নেমে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এতে কেন্দুয়া উপজেলার দুই খেলোয়াড় আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রেফারি দুজন খেলোয়াড়কে (সদরের শোয়েব ও কেন্দুয়ার আরিফ) লাল কার্ড দেখান। এসময় কেন্দুয়ার খেলোয়াড় আরিফসহ আরেকজন আহত হয়। খবর পেয়ে সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজের নেতৃত্বে পুলিশ মাঠে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরপর খেলা স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিলেও কেন্দুয়া উপজেলার খেলোয়াড়রা মাঠে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান। নির্ধারিত সময়ের নয় মিনিট বাকি থাকলেও পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পর রেফারি সদর উপজেলা দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খেলোয়াড়দের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। উত্তেজিত দর্শক মাঠে নামায় পরিস্থিতি কিছুটা বিশৃঙ্খল হয়। পরে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান হয়েছে।
এইচ এম কামাল/আরএইচ/এএসএম
What's Your Reaction?