ইসকনকে নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইসকন হঠাৎ উত্তপ্ত কেন, আগ্রাসী মনোভাব কেন? এরা কারা? এদের তো নতুন করে চিনতে হয়। কেন তারা এই বিদ্বেষ পোষণ করছে নিজেদের মধ্যে? হঠাৎ কেন ১০ জায়গায় সমাবেশ! সমাবেশ শেষ না হতেই ভারতের রি-অ্যাকশন। এই পঞ্চম বাহিনী থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাসাসের উদ্যোগে গানের সিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, দেশকে পরাধীন করার চক্রান্ত চলছে। একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে পঞ্চম বাহিনীর উপদ্রব ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে।
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আগের তুলনায় ভালো দাবি করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ পরিকল্পিতভাবে আমাদের গণতন্ত্রের পথে হাঁটার সুযোগ নষ্ট করতে অপপ্রচার করছে। নিজস্ব শক্তিতেই বিকাশ লাভ করবে আমাদের দেশ, কারো আনুগত্যে থাকার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। কারো চোখ রাঙানিতে আমরা ভয় পাই না। ভারত যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেনি। কিন্তু আমরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।
তিনি আরও বলেন, অন্যায় ও অত্যাচার যখন রাষ্ট্রের ওপর চেপে বসে, তখন শিল্প-সংস্কৃতির আন্দোলন বড় দায়িত্ব পালন করে। আন্দোলন যত তীব্র হয়, বিজয় তত এগিয়ে আসে। গণঅভ্যুত্থানে ইথুন বাবুর লেখা ও মৌসুমির গাওয়া ‘দেশটা তোর বাপের নাকি?’ গানটি নতুন মাত্রা যোগ করেছিল বলে দাবি রিজভীর।
সমমর্যাদার ভিত্তিতে সাংস্কৃতিক বিনিময় হতে পারে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, কেউ যদি আমাদের তাদের অনুগত ভাবে, তা মেনে নেব না। শিল্পীরাই ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন প্রতিরোধ করবে।
জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক ইথুন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রশিদুজ্জামান মিল্লাত, মীর সরফত আলী সপু, শাম্মী আক্তার প্রমুখ।