বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেছেন, পতিত আওয়ামী লীগ দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি।
তিনি বলেন, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে সক্রিয় থাকতে হবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জ ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরে দেশকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। লাগাতার সংগ্রাম ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর মধ্য দিয়ে আমাদের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হলেও চূড়ান্ত বিজয় বাকি আছে। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বসে দেশের বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে কর্মিসভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল।
সভাপতির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাড়ে ১৫ বছরে আমরা কথা বলতে পারিনি। হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার করে আমাদের ওপরে নির্যাতন করা হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তোপের মুখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে। আমরা এখন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। আগামী উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটিতে কোনো আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে যারা আঁতাত করে চলছে প্রমাণ হলে তাদের কমিটিতে রাখা হবে না। প্রকৃত জিয়ার সৈনিকদের নিয়ে ২১ সদস্যের উপজেলা ও ১১ সদস্যের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হবে।
কর্মিসভায় আরও বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাদের আহমদ, আব্দুল মোত্তালেব খান, আনসার উদ্দিন, রেজাউল হক, আনিসুল হক, আবুল কালাম আজাদ, মোনাজ্জির হোসেন সুজন, নুর আলী, সালমা আক্তার, ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী, আব্দুস সামাদ তুহেল প্রমুখ।