পথচারীদের শীত নিবারণে গাছের গুড়ি জ্বালালেন স্থানীয়রা

তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় পথচারীদের কষ্ট লাঘবে গাছের গুড়ি জ্বালিয়ে আগুনের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে সদরপুর-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় সকাল-সন্ধ্যায় সড়কে চলাচল করা মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিশেষ করে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও অটোরিকশাচালকদের শীতের প্রকোপ বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় স্থানীয় কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি উদ্যোগ নিয়ে সড়কের পাশে গাছের গুড়ি জ্বালিয়ে আগুন ধরান, যাতে পথচারীরা কিছুটা হলেও গা গরম করতে পারেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শীতের সময় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী চালকরা মাঝেমধ্যে গাড়ি থামিয়ে আগুন পোহান। শুধু চালকরাই নন, আশপাশের এলাকার বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ সেখানে এসে আগুনের তাপে শীত নিবারণ করছেন। এতে শীতের কষ্ট কিছুটা হলেও কমছে বলে জানান তারা। এ বিষয়ে স্থানীয় এক ভ্যানচালক বলেন, সকাল ও রাতের বেলা শীত খুব বেশি থাকে। এই আগুনের কারণে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে গা গরম করার সুযোগ পাচ্ছি। এলাকাবাসীর এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পথচারীরা। তারা বলেন,

পথচারীদের শীত নিবারণে গাছের গুড়ি জ্বালালেন স্থানীয়রা

তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় পথচারীদের কষ্ট লাঘবে গাছের গুড়ি জ্বালিয়ে আগুনের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে সদরপুর-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় সকাল-সন্ধ্যায় সড়কে চলাচল করা মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিশেষ করে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও অটোরিকশাচালকদের শীতের প্রকোপ বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় স্থানীয় কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি উদ্যোগ নিয়ে সড়কের পাশে গাছের গুড়ি জ্বালিয়ে আগুন ধরান, যাতে পথচারীরা কিছুটা হলেও গা গরম করতে পারেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শীতের সময় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী চালকরা মাঝেমধ্যে গাড়ি থামিয়ে আগুন পোহান। শুধু চালকরাই নন, আশপাশের এলাকার বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ সেখানে এসে আগুনের তাপে শীত নিবারণ করছেন। এতে শীতের কষ্ট কিছুটা হলেও কমছে বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে স্থানীয় এক ভ্যানচালক বলেন, সকাল ও রাতের বেলা শীত খুব বেশি থাকে। এই আগুনের কারণে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে গা গরম করার সুযোগ পাচ্ছি।

এলাকাবাসীর এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পথচারীরা। তারা বলেন, শীতের সময় এ ধরনের ছোট উদ্যোগও মানুষের জন্য বড় স্বস্তি বয়ে আনে।

উল্লেখ্য, দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়ার দাপটে বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। এদিকে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

সোমবার ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার প্রথম দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া অদক্ষ থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘনকুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

এ ছাড়া সারা দেশে রাতের আপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি কমতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।

জানুয়ারি পর্যন্ত বা ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow