পরিচ্ছন্ন রাজনীতি এবং পরিকল্পিত পদক্ষেপেই রক্ষা
অর্থনীতিবিদ আহমেদ আহসানের অন্তর্দৃষ্টিমূলক পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করার মতো। সম্প্রতি এক প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নিয়ে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা -পরবর্তী চুয়ান্ন বছরের অর্জনকে খাটো করে দেখার অবকাশ খুব কম এবং তার প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ করা যায় প্রশংসনীয় দারিদ্র্য হ্রাস, মানব উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধির রেকর্ড। ১৯৯১- ২০২২ সময়কালে চরম দারিদ্র্য তিন- চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়ে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তির হার এবং লিঙ্গ সমতা অর্জন অতুলনীয়; এখন আয়ুষ্কাল ৭৩ বছর; শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার নিম্নগামী হয়ে শুধু প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান নয় বরং অপেক্ষাকৃত অঢেল ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিনসের চেয়েও ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। এই কিছুদিন আগেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গড়পড়তা সাত শতাংশের আশেপাশে ঘুরপাক খেত। দুই. হাঁটি হাঁটি পা পা করে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের পথে প্রবেশ করলে তথাকথিত মধ্যম-আয় ফাঁদ সামনে এসে দাঁড়ায়। মধ্যম-আয় ফাঁদটা হয় তখন যখন মধ্যম আয়ের মই বেয়ে উপরে উঠে যখন উঁচু– আয় স্তরের কাছাকাছি, ঠিক তখন দেশগুলোর উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধি মন্থর হয়।
অর্থনীতিবিদ আহমেদ আহসানের অন্তর্দৃষ্টিমূলক পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করার মতো। সম্প্রতি এক প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নিয়ে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা -পরবর্তী চুয়ান্ন বছরের অর্জনকে খাটো করে দেখার অবকাশ খুব কম এবং তার প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ করা যায় প্রশংসনীয় দারিদ্র্য হ্রাস, মানব উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধির রেকর্ড। ১৯৯১- ২০২২ সময়কালে চরম দারিদ্র্য তিন- চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়ে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তির হার এবং লিঙ্গ সমতা অর্জন অতুলনীয়; এখন আয়ুষ্কাল ৭৩ বছর; শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার নিম্নগামী হয়ে শুধু প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান নয় বরং অপেক্ষাকৃত অঢেল ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিনসের চেয়েও ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। এই কিছুদিন আগেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গড়পড়তা সাত শতাংশের আশেপাশে ঘুরপাক খেত।
দুই.
হাঁটি হাঁটি পা পা করে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের পথে প্রবেশ করলে তথাকথিত মধ্যম-আয় ফাঁদ সামনে এসে দাঁড়ায়। মধ্যম-আয় ফাঁদটা হয় তখন যখন মধ্যম আয়ের মই বেয়ে উপরে উঠে যখন উঁচু– আয় স্তরের কাছাকাছি, ঠিক তখন দেশগুলোর উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধি মন্থর হয়। আর তাই বোধ হয় ২০১০ অবধি ষাট বছরে মাত্র ১৫ টি দেশ মধ্যম থেকে উঁচু আয়ের দেশে সফলতার সঙ্গে রুপান্তর ঘটাতে সক্ষম হয়েছে ( মাথাপিছু ৩৭০০০ ডলার পিপিপি বা আমেরিকার মাথাপিছু আয়ের প্রায় অর্ধেক)। আবার এও বলা দরকার যে এদের বেশিরভাগ পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপে অবস্থিত। অবশ্য বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃক হিসাবকৃত উঁচু আয়ের দেশের আয়-সীমা মাঝারি ১৩, ০০০ ডলার কিন্তু এই মাঝারি স্তরও অতিক্রম করতে যুগযুগ ধরে মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল কিংবা মেক্সিকো হিমশিম খাচ্ছে; ধারণা করা হয়, কেবল মাত্র চিলি ও পূর্ব ইউরোপের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলো সীমানা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।
বলাবাহুল্য যে মাথাপিছু আয় ২,৮০০ ডলার নিয়ে বাংলাদেশ উঁচু -আয়ের সীমানার ধারেকাছেও নেই তবে উল্লিখিত দেশগুলোর কারও কারও অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, যখন তাদের মাথাপিছু আয় ৩,০০০-৫,০০০ ডলার ছিল, তখন প্রবৃদ্ধিতে বিরতি আসে, যেন থমকে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ এখন নিম্ন-মধ্যম- আয় ফাঁদ পর্যায়ে পা ফেলেছে বলে প্রতীয়মান হয়। একটা উদাহরণ তো এই যে প্রতিবেশী দেশ ভারত যেখানে মাথাপিছু ২৪০০ ডলার আয় নিয়েও দেশটির প্রবৃদ্ধির হারে তির্যক গতিহ্রাস লক্ষণীয়।বাংলাদেশেও মধ্যম-আয়ের চ্যালেঞ্জের আলামতগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন- যেমন বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষ সুবিধা আদায়ে অসুবিধা, সামগ্রিক ভারসাম্যহীনতা, কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা, এবং বহিস্থ বাণিজ্য শর্ত জনিত আঘাতে চলমান সামস্তিক অর্থনীতিক উদ্বায়িতা ইত্যাদি চিন্তা কপালে ভাঁজ ফেলছে।
মূলত মূলস্রোত অর্থনীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ প্রবৃদ্ধির চারটি উৎস উল্লেখ করা চলে ঃ (ক) জিডিপি বা উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে পুঁজি ভাণ্ডার (ক্যাপিট্যাল স্টক), কর্মসংস্থান, পড়াশুনা (স্কুলিং)এবং (খ) গুরুত্বপূর্ণভাবে, মোট উপকরণের দক্ষতার উপর (টোটাল ফ্যাক্টর প্রডাক্টিভিটি ) । শেষোক্তটি আবার নির্ভরশীল উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা এবং এমনসব প্রতিষ্ঠানের উপর যা নিরাপত্তা, মৌলিক অধিকার, সম্পত্তির উপর নিয়ন্ত্রণ, গণ - পণ্য (পাবলিক গুড ) এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় বাজার নিশ্চিত করে; (গ) কর্মীর বণ্টন এবং সহায়কি কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন তার কারণ সম্পদ এবং শ্রম সবচেয়ে উৎপাদনশীল কাজে নিয়োজিত থাকা উচিত। উপকরণের চলমানতা থাকতে হবে এবং এ জন্য দক্ষ আর্থিক খাত এবং দাম -সংকেত সাহায্য করতে পারে। এবং সবশেষে, মাথাপিছু জিডিপি প্রভাবিত করে শিক্ষিত শ্রমের উৎপাদনশীলতা, কর্মরত শ্রমশক্তি এবং ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা মোট জনসংখ্যায় কর্মক্ষম মানুষের অনুপাত। গবেষক আহমদ আহসান আগাম দৃষ্টিসম্পন্ন গবেষণায় উক্ত চারটি উৎসের আলোকে বলছেন বাংলাদেশ নাকি এখন সাতটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
তিন.
প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের জনমিতিক লাভকে ঘরে তোলা। সম্ভবত পাঠক মাত্রই জানেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড হচ্ছে এমন একটা সময়কাল যখন একটি দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই -তৃতীয়াংশ মানুষ থাকে কর্ম-বয়সী মানুষ। অর্থাৎ, প্রতি তিনজনে দুইজন কর্মক্ষম ব্যক্তি, বাকি একজন হয় শিশু না হয় বৃদ্ধ; আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী যাদের বয়স ১৬-৬৪ বছর তারাই কর্মক্ষম, তারাই শ্রমশক্তি। জুতসই যুক্তিটা হচ্ছে, অন্যান্য কিছু স্থির থাকলে, এই অনুপাত যতো বড় হবে, মাথাপিছু আয় ততই বাড়বে।
কর্মসংস্থান হার বৃদ্ধির পথে বড় বাধা হতে পারে শ্রমশক্তিতে অধিক হারে নারীর অন্তর্ভুক্তি। বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার দু বছর আগেও ছিলও ৪৩ শতাংশ যা পূর্ব এশিয়ার ৬৩ শতাংশে রূপান্তরিত করা দরকার। স্মর্তব্য, এমন গতিতে নারীদের অংশগ্রহণের হার তখনই বাড়বে যখন অধিকতর শক্তিশালী এবং শ্রমঘন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নারী ও পুরুষ শ্রমের সার্বিক চাহিদা চাঙা করতে সক্ষম হবে। এর সাথে দরকার হবে শিশু এবং বয়স্ক পরিচর্যার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
গত কয়েক দশক আগেও এই উপাদানটির অসীম অবদান ছিল অনেকটা অস্বীকৃত। কিন্তু পূর্ব এশিয়ার গতিশীল অর্থনীতির আবির্ভাব ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড-এর তাৎপর্য স্পষ্ট করে তোলে। এদের চারটা দেশেই মাথাপিছু আয়ের উল্লম্ফন ঘটে যখন কর্মক্ষম জনসংখ্যার হার ছিল মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ কিংবা বেশি। সাধারণত মনে করা হয় যে এসব দেশের দ্রুত ধাবমান মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধির এক -তৃতীয়াংশ এসেছে এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড থেকে।
তবে আগে বলা চারটি উৎসের দিকে তাকালে দেখা যাবে এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড থেকে লাভ পেতে হলে চাই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর শিক্ষা এবং উৎপাদনশীলতা। যদি তা না হয় তাহলে, যেমনটি ঘটেছে অনেক উন্নয়নশীল দেশে, জনমিতিক লাভের গুড় ইঁদুরে খেয়ে বিরাট বিপর্যয় ঘটাতে পারে। প্রবৃদ্ধি তো পরের কথা, কর্মক্ষম জনসংখ্যার, বিশেষত যুব সম্প্রদায়ের, বেশিরভাগ বেকার থেকে সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা উসকে দেবে। সাম্প্রতিককালে বেশ কটি দেশের অভিজ্ঞতা (এমনকি বাংলাদেশের) সে দিক যেন ইঙ্গিত করে।
চার.
যাই হোক, বাংলাদেশের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ ওটাই। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার দুই -তৃতীয়াংশ কর্মবয়সী মানুষ যাদের বয়স ১৬-৬৪ বছর। প্রত্যেক নির্ভরশীল শিশু ও বৃদ্ধের বিপরীতে দুইজন কর্মক্ষম মানুষ মানুষ নিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড স্তরে বাংলাদেশের অবস্থান আশীর্বাদ না অভিশাপ সময়ই বলে দেবে। জাতিসংঘের প্রক্ষেপণে ২০৩৩ নাগাদ কর্মক্ষম মানুষের অনুপাতটি প্রায় সত্তর ছুঁইছুঁই হবে কিন্তু দুই -এক অনুপাত ২০৫০ পর্যন্ত থাকবে বলে মনে করা হয়।
সুতরাং, কম নির্ভরতা এবং প্রবৃদ্ধিজনিত সুযোগের জানালা ব্যবহার করে এই জনমিতিক ফসল ঘরে তোলার এখনই মোক্ষম সময়। লালন বলেছে ‘ সময় গেলে সাধন হবে না ‘। কিন্তু কথায় তো চিড়া ভিজবে না– খুব জরুরি ভিত্তিতে এর জন্য চাই কর্মক্ষম মানুষগুলোর জন্য অধিক উৎপাদনশীল কাজের আয়োজন – ভালো শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের প্রভাব থাকবে চার দশকেরও বেশি। দ্বিতীয় একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বুড়িয়ে যাওয়া – ২০৫০ নাগাদ ৬৫+ জনসংখ্যা বর্তমান এক কোটি থেকে তিনগুণ হয়ে নাকি তিন কোটিতে ঠেকবে। তার মানে এদের পেনশন ও চিকিৎসা বাবদ ব্যাপক ব্যয় বৃদ্ধির বোঝা অর্থনীতির পিঠে– জিডিপির ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়বে বলে অনুমান। এমন একটা আগাম সংকট মোকাবিলা করার একমাত্র পথ হচ্ছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর জানালার যথাযথ করে অর্থনীতিকে বড় করা।
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে কর্মক্ষম লোকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির সামর্থ্যে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। যেমন এখানকার কর্মক্ষমদের কর্মসংস্থানের হার ৫৫ শতাংশ যা পূর্ব এশিয়ার তুলনায় ১০ শতাংশ পয়েন্ট পিছিয়ে। যখন পূর্ব এশিয়ার মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ের সমান ছিল তখন তারা কর্মক্ষম লোকদের ৭০ ভাগের চাকরির ব্যবস্থা করেছিল।
পাঁচ.
কর্মসংস্থান হার বৃদ্ধির পথে বড় বাধা হতে পারে শ্রমশক্তিতে অধিক হারে নারীর অন্তর্ভুক্তি। বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার দু বছর আগেও ছিলও ৪৩ শতাংশ যা পূর্ব এশিয়ার ৬৩ শতাংশে রূপান্তরিত করা দরকার। স্মর্তব্য, এমন গতিতে নারীদের অংশগ্রহণের হার তখনই বাড়বে যখন অধিকতর শক্তিশালী এবং শ্রমঘন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নারী ও পুরুষ শ্রমের সার্বিক চাহিদা চাঙা করতে সক্ষম হবে। এর সাথে দরকার হবে শিশু এবং বয়স্ক পরিচর্যার পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভারতের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের পড়ন্ত হার নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণা উপদেশ দিচ্ছে যে, নারীর অংশ গ্রহণের হার বাড়াতে গেলে কর্মসংস্থানের পরিধি বিস্তার, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন এবং ভালো শিশু -সেবার সুযোগ থাকতে হবে।
ছয়.
২০২২ সালের প্রাথমিক শ্রমশক্তি সমীক্ষা বলছে ২০১৭-২০২২ সময়কালে বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণে তির্যক উল্লম্ফন ঘটিয়ে ৪৩ শতাংশে পৌঁছায় তবে এই উল্লম্ফনের উৎস মূলত গ্রামীণ নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের জন্য। এই সময়কালে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বার্ষিক হার আশাব্যঞ্জক ৩ শতাংশের প্রধান অনুঘটক কৃষিতে এবং গ্রামে নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি। একই সময়ে শহরাঞ্চলে নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পেয়েছে।
মোট কথা, উৎপাদনশীল কর্মে কর্মবয়সীদের নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ডেমোগ্রাফিক ডেভিল রূপ ধারণ করে ডেমোগ্রাফিক ডিজাস্টার ঘটাতে পারে। একমাত্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি এবং পরিকল্পিত পদক্ষেপ পারবে আশু বিপদ থেকে রক্ষা করতে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, কলামিস্ট। সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
এইচআর/জেআইএম
What's Your Reaction?