পরিষ্কার করার পরও রান্নাঘরে যে জায়গা অপরিষ্কার থাকে

  সুস্থ জীবন কাটাতে হলে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না। রান্নাঘরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আবশ্যক, কারণ এখান থেকেই সহজেই রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। প্রতিদিন রান্নার শেষে সাধারণ পরিষ্কার-গ্যাস ওভেন, স্ল্যাব, সিঙ্ক নিয়মিত মুছে ফেলা হয়। এমনকি মেঝেও প্রায় প্রতিদিন মোছা হয়। তবুও কিছু জায়গা আড়ালে থেকে যায়, যা মাসে একবার বা ছয় মাসে একবারই পরিষ্কার করা হয় না। এই লুকানো জায়গাগুলোও রোগজীবাণুর আবাসস্থল হতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার করে এই স্থানগুলো পরিষ্কার করা জরুরি। নিয়মিত ও সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন রাখলে রান্নাঘর থাকবে স্বাস্থ্যসম্মত এবং খাবারও নিরাপদ।আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন জায়গা গুলো পরিষ্কার করা হয় না এবং সেই জায়গাগুলো কীভাবে পরিষ্কার করবেন ১. ফ্রিজ ও ক্যাবিনেটের উপরের ‍অংশফ্রিজের ভেতরের অংশ নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, কিন্তু বাইরের অংশ বিশেষ করে মাথার অংশ প্রায়ই উপেক্ষিত থাকে। অনেক সময় ফ্রিজের মাথায় জিনিসপত্র রেখে দেওয়া হয়, যা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। ফলে ধুলার স্তর জমে যায় এবং এটি অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। একই সমস্যা রান্নাঘরের ক্যাবিনেট, মাইক্রোওভেনের মতো অন্যান্য উপকরণেও দেখা যায়

পরিষ্কার করার পরও রান্নাঘরে যে জায়গা অপরিষ্কার থাকে

 

সুস্থ জীবন কাটাতে হলে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না। রান্নাঘরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আবশ্যক, কারণ এখান থেকেই সহজেই রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। প্রতিদিন রান্নার শেষে সাধারণ পরিষ্কার-গ্যাস ওভেন, স্ল্যাব, সিঙ্ক নিয়মিত মুছে ফেলা হয়। এমনকি মেঝেও প্রায় প্রতিদিন মোছা হয়। তবুও কিছু জায়গা আড়ালে থেকে যায়, যা মাসে একবার বা ছয় মাসে একবারই পরিষ্কার করা হয় না।

এই লুকানো জায়গাগুলোও রোগজীবাণুর আবাসস্থল হতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার করে এই স্থানগুলো পরিষ্কার করা জরুরি। নিয়মিত ও সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন রাখলে রান্নাঘর থাকবে স্বাস্থ্যসম্মত এবং খাবারও নিরাপদ।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন জায়গা গুলো পরিষ্কার করা হয় না এবং সেই জায়গাগুলো কীভাবে পরিষ্কার করবেন

১. ফ্রিজ ও ক্যাবিনেটের উপরের ‍অংশ
ফ্রিজের ভেতরের অংশ নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, কিন্তু বাইরের অংশ বিশেষ করে মাথার অংশ প্রায়ই উপেক্ষিত থাকে। অনেক সময় ফ্রিজের মাথায় জিনিসপত্র রেখে দেওয়া হয়, যা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। ফলে ধুলার স্তর জমে যায় এবং এটি অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

একই সমস্যা রান্নাঘরের ক্যাবিনেট, মাইক্রোওভেনের মতো অন্যান্য উপকরণেও দেখা যায়। তাই ফ্রিজ, ক্যাবিনেট বা মাইক্রোওভেনের মাথা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। ধুলা ঝাড়ার পাশাপাশি সাবান বা ভিনিগার মিশ্রিত পানি দিয়ে মুছে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো।

২. সিঙ্কের পাইপ ও তার নিচ
আপনি হয়তো সিঙ্ক প্রতিদিন পরিষ্কার করেন, কিন্তু পাইপ ও নিচের অংশটাও পরিষ্কার করেন না। মাছ-মাংস, কাঁচা সবজি ধোয়া আর বাসন মাজা সবই হয় সিঙ্কে। এই অংশগুলোতে তেল ও ময়লা জমে, আর তা পরিষ্কার না করলে রান্নাঘরে তেলাপোকা, মাছি ও অন্যান্য পোকামাকড় বেড়ে যায়। সপ্তাহে ২-১ দিন পাইপে বেকিং সোডা ও গরম পানি ঢেলে পরিষ্কার করুন। নিচের অংশ ভিনিগার বা সাবান দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিন। এর ফলে রান্নাঘর হবে স্বাস্থ্যকর এবং পোকামুক্ত।

৩. ক্যাবিনেট, ফ্রিজ, মাইক্রোওভেনের হাতল
রান্নাঘরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ক্যাবিনেট, ফ্রিজ এবং মাইক্রোওভেনের হাতল। জিনিসপত্র বারবার নেওয়া-দেওয়ার সময় এই হাতলই বেশি ব্যবহার হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই আমরা এই হাতলগুলো পরিষ্কার করতে ভুলে যাই। যখন স্ল্যাব পরিষ্কার করেন, সেই সময়ই হাতলগুলোও একসঙ্গে পরিষ্কার করুন। একইভাবে ব্লেন্ডার ও অন্য যন্ত্রপাতিও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। ছোট এই অভ্যাসই রান্নাঘরকে স্বাস্থ্যকর রাখে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউ ইয়র্ক পোষ্ট

আরও পড়ুন:

বাসন পরিষ্কার করতে লেবুর সঙ্গে কী যোগ করবেন 
শীতে ফ্লাস্ক ব্যবহার হয় বেশি, পরিষ্কার করবেন যেভাবে 

এসএকেওয়াই/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow