পাঁচদিনের সফরে ভারতে আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

আফগানিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী নূরউদ্দিন আজিজি পাঁচদিনের সরকারি সফরে বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভারতে পৌঁছেছেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। জানা গেছে, সফরকালে আফগান বাণিজ্যমন্ত্রী ভারতের বাণিজ্য ও অর্থ-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেই সঙ্গে তিনি নয়াদিল্লিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (আইআইটিএফ) পরিদর্শন করবেন। ভারত আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকে আফগানিস্তানে ভারত থেকে আমদানি কমেছে, আর ভারতে আফগানিস্তানের পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে ভারত আফগানিস্তানে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে, তার তুলনায় অনেক বেশি পণ্য আমদানি করে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আফগানিস্তান থেকে যেসব পণ্য ভারত আমদানি করেছে, সেগুলো হলো- পেঁয়াজ, ডুমুর, হিং, কিশমিশ, আপেল, রসুন, জাফরান, মৌরি, কাঠ বাদাম, অ্যাপ্রিকট ও বেদানা। বহু দশক ধরে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল পাকিস্তান। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের বাৎসরিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১৭০ কোটি ডলারেরও বেশি। কিছুদিন আগ পর্যন্তও পাকিস

পাঁচদিনের সফরে ভারতে আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

আফগানিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী নূরউদ্দিন আজিজি পাঁচদিনের সরকারি সফরে বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভারতে পৌঁছেছেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।

জানা গেছে, সফরকালে আফগান বাণিজ্যমন্ত্রী ভারতের বাণিজ্য ও অর্থ-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেই সঙ্গে তিনি নয়াদিল্লিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (আইআইটিএফ) পরিদর্শন করবেন।

ভারত আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকে আফগানিস্তানে ভারত থেকে আমদানি কমেছে, আর ভারতে আফগানিস্তানের পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে ভারত আফগানিস্তানে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে, তার তুলনায় অনেক বেশি পণ্য আমদানি করে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে আফগানিস্তান থেকে যেসব পণ্য ভারত আমদানি করেছে, সেগুলো হলো- পেঁয়াজ, ডুমুর, হিং, কিশমিশ, আপেল, রসুন, জাফরান, মৌরি, কাঠ বাদাম, অ্যাপ্রিকট ও বেদানা।

বহু দশক ধরে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল পাকিস্তান। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের বাৎসরিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১৭০ কোটি ডলারেরও বেশি। কিছুদিন আগ পর্যন্তও পাকিস্তান থেকে নিয়মিত কৃষিজ, জ্বালানি, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য আমদানি করত আফগানিস্তান। পাকিস্তানও আফগানিস্তান থেকে ফল, শাকসবজি, মসলা, গমসহ বিভিন্ন কৃষিজ ও খাদ্যপণ্য আমদানি করত।

তবে পাকিস্তানের সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ঘিরে সম্প্রতি ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে ব্যাপক তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। গত প্রায় ৪ বছর ধরে তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে টিটিপি নেতা-কর্মীদের আশ্রয়, প্রশ্রয়, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। তবে কাবুল বরাবরই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে, গত মাসে ছয়দিনের সফর চলাকালে তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি জানিয়েছিলেন, ভারত ও আফগানিস্তান যৌথভাবে একটি বাণিজ্য কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছে, যার লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো। এই কমিটি গঠিত হলে আফগানিস্তানে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়বে এবং খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি খাতে নতুন সুযোগ তৈরি হবে। এসব ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে কাজের সুযোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছি।

মুতাক্কির সফরের পর ভারত তাদের কাবুল টেকনিক্যাল মিশনের মর্যাদা বাড়িয়ে আবারও দূতাবাসের স্বীকৃতি দেয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এ সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের সব ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা আরও গভীর করার প্রতি ভারতের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।

সূত্র: ফার্স্ট পোস্ট

এসএএইচ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow