পাকিস্তান-চীনের যৌথ মহড়া

আধুনিক সব প্রযুক্তির সমন্বয়ে ১০ দিনের সামরিক মহড়া করেছে পাকিস্তান ও চীনের সেনারা। ওয়ারিয়র-৯ নামের ওই মহড়ায় মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে লাইভ গুলিও ছোড়া হয়। গেল জুনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পর চীন ইসলামাবাদের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোড়দার করেছে। এরই ধারাবাহিতকায় দুই দেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ন্যাশনাল কাউন্টার টেরোরিজম সেন্টার পাব্বিতে সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়।  সন্ত্রাস বিরোধী ওই সামরিক মহড়ায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং পাকিস্তানের সেনারা অত্যন্ত কঠোরভাবে দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। মুহূর্তের মধ্যেই সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে যাবতীয় কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। এই মহড়ায় অংশ নেওয়া চীনের সেনা অফিসার ইয়াং কুন বলেন, সামরিক মহড়াকে সফল করতে আমরা পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে বিভিন্ন কৌশলে সমন্বয় করেছি। যাতে মহড়ায় অংশ নেওয়া সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এদিকে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মহড়া শেষে গত রোববার থেকে চীনের সেনারা ধাপে ধাপে নিজ দেশে ফিরে যাওয়া শুরু করেছেন।  এই মহড়ায় চীন ও পাকিস্তানের সেনারা যৌথভাবে পাহাড়ি এলাকায় অভিযান, জিম্মি

পাকিস্তান-চীনের যৌথ মহড়া

আধুনিক সব প্রযুক্তির সমন্বয়ে ১০ দিনের সামরিক মহড়া করেছে পাকিস্তান ও চীনের সেনারা। ওয়ারিয়র-৯ নামের ওই মহড়ায় মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে লাইভ গুলিও ছোড়া হয়। গেল জুনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পর চীন ইসলামাবাদের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোড়দার করেছে। এরই ধারাবাহিতকায় দুই দেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ন্যাশনাল কাউন্টার টেরোরিজম সেন্টার পাব্বিতে সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়। 

সন্ত্রাস বিরোধী ওই সামরিক মহড়ায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং পাকিস্তানের সেনারা অত্যন্ত কঠোরভাবে দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। মুহূর্তের মধ্যেই সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে যাবতীয় কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। এই মহড়ায় অংশ নেওয়া চীনের সেনা অফিসার ইয়াং কুন বলেন, সামরিক মহড়াকে সফল করতে আমরা পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে বিভিন্ন কৌশলে সমন্বয় করেছি। যাতে মহড়ায় অংশ নেওয়া সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এদিকে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মহড়া শেষে গত রোববার থেকে চীনের সেনারা ধাপে ধাপে নিজ দেশে ফিরে যাওয়া শুরু করেছেন। 

এই মহড়ায় চীন ও পাকিস্তানের সেনারা যৌথভাবে পাহাড়ি এলাকায় অভিযান, জিম্মি উদ্ধার এবং মিশ্র ইউনিটভিত্তিক যৌথ প্রশিক্ষণ মডেলে সমন্বিত ফায়ার স্ট্রাইকসহ নানা অনুশীলন সম্পন্ন করেন। পাকিস্তানের আকাশ এবং মাটিকে শত্রুমুক্ত রাখতে কঠোর অনুশীলন করেছে দুই দেশের সেনারা। আর এতে ব্যবহার করা হয়েছে, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন দীর্ঘপাল্লার মানববিহীন ও আত্মঘাতি ড্রোন, বোমা নিস্ক্রিয় রোবটসহ গোয়েন্দা নজরদারি রোবট। 

সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়া চীনের আরেক সেনা অফিসার ঝাং ইং বলেন, পাকিস্তানের একাধিক পাইলটদের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পিত এই অভিযান সম্পন্ন করা হয়েছে। এই সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখেছি, পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছি এবং মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি।  

পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের এমন এক সময় সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হলো যখন মার্কিন চাপে রয়েছে নয়াদিল্লি। এছাড়া গেল কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের আধুনিকায় করতে প্রযুক্তিগত সহায়তার কথা জানায় ওয়াশিংটন। ফলে পাকিস্তান সামরিক দিক দিয়ে আরও বেশি শক্তি অর্জন করবে। যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow