পাশে নেই কেউ, অচেনা লোকেরা খাবার দিয়ে যায় যুবরাজের বাবাকে

ছেলে যুবরাজ সিং যখন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন, তখন ছেলের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা যোগরাজ সিং। সে সময় তখনকার ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সরাসরি দায়ী করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। সেই যোগরাজ সিং এখন ভুগছেন ভীষণ একাকিত্বে। পাশে নেই স্ত্রী-সন্তানদের কেউ। খাবারের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে অচেনা মানুষদের ওপর। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে যোগরাজ সিং বলেন, ‘আমি সন্ধ্যায় একা বসি, ঘরে কেউ থাকে না। খাবারের জন্য অচেনাদের ওপর নির্ভর করি, কখনো একজন, কখনো অন্য কেউ। তবে আমি কাউকে বিরক্তি করি না। যদি আমি ক্ষুধার্ত থাকি, কেউ না কেউ খাবার দেয়। রাঁধুনীরা আছে, ওরা খাবার পরিবেশন করে চলে যায়।’ তবে পরিবারের ওপর ক্ষোভ নেই যোগরাজের। তিনি বলেন, ‘আমি আমার মা, সন্তান, বউ, নাতি-নাতনি, পরিবারের সবাইকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি কোনো কিছু চাই না। আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। আমার জীবন সম্পূর্ণ, যখন ঈশ্বর চাইবেন তিনি আমাকে নিয়ে যেতে পারেন। আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।’ ৬২ বছর বয়সী যোগরাজ জানান, তার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা

পাশে নেই কেউ, অচেনা লোকেরা খাবার দিয়ে যায় যুবরাজের বাবাকে

ছেলে যুবরাজ সিং যখন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন, তখন ছেলের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা যোগরাজ সিং। সে সময় তখনকার ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সরাসরি দায়ী করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।

প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। সেই যোগরাজ সিং এখন ভুগছেন ভীষণ একাকিত্বে। পাশে নেই স্ত্রী-সন্তানদের কেউ। খাবারের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে অচেনা মানুষদের ওপর।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে যোগরাজ সিং বলেন, ‘আমি সন্ধ্যায় একা বসি, ঘরে কেউ থাকে না। খাবারের জন্য অচেনাদের ওপর নির্ভর করি, কখনো একজন, কখনো অন্য কেউ। তবে আমি কাউকে বিরক্তি করি না। যদি আমি ক্ষুধার্ত থাকি, কেউ না কেউ খাবার দেয়। রাঁধুনীরা আছে, ওরা খাবার পরিবেশন করে চলে যায়।’

তবে পরিবারের ওপর ক্ষোভ নেই যোগরাজের। তিনি বলেন, ‘আমি আমার মা, সন্তান, বউ, নাতি-নাতনি, পরিবারের সবাইকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি কোনো কিছু চাই না। আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। আমার জীবন সম্পূর্ণ, যখন ঈশ্বর চাইবেন তিনি আমাকে নিয়ে যেতে পারেন। আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।’

৬২ বছর বয়সী যোগরাজ জানান, তার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা তিনি পেয়েছিলেন যখন তার স্ত্রী ও ছেলে যুবরাজ তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নিজেকে ‘নির্দোষ’ অভিহিত করে যোগরাজ বলেন, ‘যখন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছলো যে যুবি ও তার মা আমাকে ছেড়ে চলে গেল, তখন সেটা আমাকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিলো। যার জন্য আমি আমার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছি, আমার পুরো যৌবন, সেই নারীও আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে?’

যোগরাজ সিংয়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব বড় ছিল না। তিনি ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে ভারতের হয়ে একটি টেস্ট এবং ছয়টি ওয়ানডে খেলেছেন। তবে চোটের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই অবসর নেন। এরপর তিনি কোচিংয়ের মাধ্যমে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

সূত্র: আনন্দবাজার

এমএমআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow