প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার কী? জানুন লক্ষণ ও সাবধানতার উপায়
অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াস আমাদের শরীরের এমন এক অঙ্গ, যা নীরবে আমাদের হজম, রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। কিন্তু এ অঙ্গেই যখন ক্যানসার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, বেশিরভাগ মানুষ তা বুঝতেই পারেন না। লক্ষণ প্রকাশ পেতে পেতে রোগটি অনেক দূর এগিয়ে যায়—এ কারণেই প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারকে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়। কেননা প্রাথমিক পর্যায়ে এর লক্ষণগুলো অন্য সাধারণ অসুস্থতার মতোই মনে হয়। তবে কিছু সাধারণ সতর্ক সংকেত লক্ষ্য করলে দেরি না করাই ভালো। যেমন – ১. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া: যে কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমলে সতর্ক হওয়া জরুরি। ২. পিঠ বা পেটে ব্যথা: হালকা ব্যথা কিন্তু তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকলে চিকিৎসককে দেখানো উচিত। ৩. খাবারে আগ্রহ কমে যাওয়া: নিয়মিত ক্ষুধা কমে যাওয়া বা হঠাৎ খাবারে আগ্রহ হারানো। ৪. দুর্বলতা ও ক্লান্তি: সাধারণ কাজ করতেও খুব বেশি কাহিল হয়ে যাওয়া। আপাতদৃষ্টিতে লক্ষণগুলো সাধারণ শরীর খারাপের মতো হওয়ায় মানুষ গুরুত্ব দিতে দেরি করে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এক গবেষণায় দেখা গেছে, রোগীরা প্রাথমিক লক্ষণ উপেক্ষা করার কারণে দেরিতে হাসপাতালে আসে। ঝুঁকির কারণগুলো >> পারিবারিক ইতিহাস: যাদের
অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াস আমাদের শরীরের এমন এক অঙ্গ, যা নীরবে আমাদের হজম, রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। কিন্তু এ অঙ্গেই যখন ক্যানসার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, বেশিরভাগ মানুষ তা বুঝতেই পারেন না।
লক্ষণ প্রকাশ পেতে পেতে রোগটি অনেক দূর এগিয়ে যায়—এ কারণেই প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারকে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়। কেননা প্রাথমিক পর্যায়ে এর লক্ষণগুলো অন্য সাধারণ অসুস্থতার মতোই মনে হয়। তবে কিছু সাধারণ সতর্ক সংকেত লক্ষ্য করলে দেরি না করাই ভালো। যেমন –
১. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া: যে কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
২. পিঠ বা পেটে ব্যথা: হালকা ব্যথা কিন্তু তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকলে চিকিৎসককে দেখানো উচিত।
৩. খাবারে আগ্রহ কমে যাওয়া: নিয়মিত ক্ষুধা কমে যাওয়া বা হঠাৎ খাবারে আগ্রহ হারানো।
৪. দুর্বলতা ও ক্লান্তি: সাধারণ কাজ করতেও খুব বেশি কাহিল হয়ে যাওয়া।
আপাতদৃষ্টিতে লক্ষণগুলো সাধারণ শরীর খারাপের মতো হওয়ায় মানুষ গুরুত্ব দিতে দেরি করে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এক গবেষণায় দেখা গেছে, রোগীরা প্রাথমিক লক্ষণ উপেক্ষা করার কারণে দেরিতে হাসপাতালে আসে।
ঝুঁকির কারণগুলো
>> পারিবারিক ইতিহাস: যাদের পরিবারের মধ্যে প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারের ঘটনা আছে, তাদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।
>> ধূমপান ও অতিরিক্ত ওজন: গবেষণায় দেখা গেছে ধূমপান ও স্থূলতা এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
>> ডায়াবেটিস: যাদের রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ কম, তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি।
সচেতনতার সহজ উপায়
যেহেতু প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারের গুরুতর লক্ষণ দেরিতে দেখা যায়, তাই এর ঝুঁকি কমাতে সাবধানতার বিকল্প নেই। তাই আজ (২০ নভেম্বর) বিশ্ব প্যানক্রিয়াটিক দিবস উপলক্ষ্যে জেনে নিন কীভাবে সাবধান হবেন -
১. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং: বিশেষ করে ৪০–৫০ বছরের পরে নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
২. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রচুর সবজি, ফলমূল এবং কম চর্বি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খান।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম: হালকা হাঁটা, সাঁতার বা সাইকেল চালানো শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৪. ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা: এটি ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়।
৫. সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ দেখানো: দেরি করলে ক্যানসার অনেক এগিয়ে যেতে পারে।
প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারকে ভয় না পেয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সময়মতো সচেতনতা এবং নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা বড় ধরনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এমন ছোট ছোট পদক্ষেপেই নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষা করা সম্ভব।
সূত্র: গ্লোবাল বুরডেন অফ ডিজিজ ২০১৭, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ‑ভিত্তিক গবেষণা, ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
এএমপি/জেআইএম
What's Your Reaction?