প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস অজান্তেই আপনার লিভারের ক্ষতি করছে
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার পেছনে লিভার একটি নীরব যোদ্ধার মতো কাজ করে। প্রতিদিন আমরা যা খাই, পান করি বা যে পরিবেশে থাকি সেখানকার ক্ষতিকর উপাদানগুলো ছেঁকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখাই লিভারের মূল দায়িত্ব। কিন্তু আমরা অনেক সময়ই এমন কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস অনুসরণ করি, যেগুলো যে লিভারের ওপর কতটা চাপ ফেলে, তা টেরই পাই না।
ধীরে ধীরে এই অভ্যাসগুলো লিভারের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়, টক্সিন জমতে থাকে, আর এর ফলেই দেখা দেয় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। লিভারকে সুস্থ রাখতে তাই সবচেয়ে জরুরি হলো—নিজের দৈনন্দিন জীবনযাপনের দিকে একটু নজর দেওয়া। কোন কোন অভ্যাস আপনার লিভারকে ক্ষতি করছে, তা জানা থাকলে সেগুলো বদলানোও সহজ হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন যে বদভ্যাসগুলো আপনার অজান্তেই লিভারের ক্ষতি কর—
অতিরিক্ত মদ্যপান
মদ্যপান লিভারের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর অভ্যাসগুলোর একটি। শরীর অতিরিক্ত অ্যালকোহল ভাঙতে পারে না, ফলে লিভারের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ধীরে ধীরে লিভারে প্রদাহ, ফ্যাটি লিভার সিরোসিস পর্যন্ত হতে পারে।
বেশি বেশি ওষুধ খাওয়া
চটজলদি ব্যথা কমানোর জন্য বারবার পেইনকিলার খাওয়া, কিংবা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ওষুধ গ্রহণ—এসবই লিভা
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার পেছনে লিভার একটি নীরব যোদ্ধার মতো কাজ করে। প্রতিদিন আমরা যা খাই, পান করি বা যে পরিবেশে থাকি সেখানকার ক্ষতিকর উপাদানগুলো ছেঁকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখাই লিভারের মূল দায়িত্ব। কিন্তু আমরা অনেক সময়ই এমন কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস অনুসরণ করি, যেগুলো যে লিভারের ওপর কতটা চাপ ফেলে, তা টেরই পাই না।
ধীরে ধীরে এই অভ্যাসগুলো লিভারের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়, টক্সিন জমতে থাকে, আর এর ফলেই দেখা দেয় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। লিভারকে সুস্থ রাখতে তাই সবচেয়ে জরুরি হলো—নিজের দৈনন্দিন জীবনযাপনের দিকে একটু নজর দেওয়া। কোন কোন অভ্যাস আপনার লিভারকে ক্ষতি করছে, তা জানা থাকলে সেগুলো বদলানোও সহজ হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন যে বদভ্যাসগুলো আপনার অজান্তেই লিভারের ক্ষতি কর—
অতিরিক্ত মদ্যপান
মদ্যপান লিভারের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর অভ্যাসগুলোর একটি। শরীর অতিরিক্ত অ্যালকোহল ভাঙতে পারে না, ফলে লিভারের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ধীরে ধীরে লিভারে প্রদাহ, ফ্যাটি লিভার সিরোসিস পর্যন্ত হতে পারে।
বেশি বেশি ওষুধ খাওয়া
চটজলদি ব্যথা কমানোর জন্য বারবার পেইনকিলার খাওয়া, কিংবা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ওষুধ গ্রহণ—এসবই লিভারের জন্য বিপজ্জনক। বিশেষ করে অতিরিক্ত ব্যথানাশক লিভার ফেইলিওর পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
ধূমপান
ধূমপানের রাসায়নিক উপাদান লিভারে পৌঁছে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে। এতে ফ্রি র্যাডিকেল তৈরি হয়ে লিভারের কোষ নষ্ট করে দেয়। দীর্ঘদিন ধূমপানের ফলে লিভারে ফাইব্রোসিসও হতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
প্রসেসড ফুড, অতিরিক্ত তেল-মসলা, ফাস্টফুড—এসব খাবার লিভারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এর বদলে প্রতিদিনের খাবারে ফল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি যোগ করলে লিভার সুস্থ থাকে। তবে অতিরিক্ত কাঁচা খাবার খাওয়া থেকেও সাবধান থাকা জরুরি।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
ঘুম কম হলে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে, যা লিভারের জন্য ক্ষতিকর। লিভারকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই প্রয়োজন।
সকালে খালি পেটে থাকা
অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে থাকেন। এতে লিভারের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হয় এবং দীর্ঘদিন এভাবে চললে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
অতিরিক্ত নিউট্রিশনাল সাপ্লিমেন্ট খাওয়া
ভিটামিন বা হারবাল সাপ্লিমেন্ট বেশি মাত্রায় খেলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত ভিটামিন A লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
দেরি করে ঘুমানো ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা
রাত জাগা এবং দেরিতে ওঠার অভ্যাস শরীরের স্বাভাবিক ঘড়িকে নষ্ট করে। এর ফলে হজমে সমস্যা হয়, শরীর দুর্বল লাগে আর সবকিছুর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে লিভারের ওপরও।
সকালে মল-মূত্র চেপে রাখা
অনেকেই আলস্যের কারণে সকালে টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন চাপা দিয়ে রাখেন। এই অভ্যাস দীর্ঘদিন চললে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমতে থাকে, লিভারের কাজের ওপরও খারাপ প্রভাব পড়ে।
লিভারকে সুস্থ রাখা মানেই পুরো শরীরকে সুস্থ রাখা। প্রতিদিনের জীবনযাপনে ছোট ছোট পরিবর্তনই পারে বড় সমস্যা থেকে আপনাকে রক্ষা করতে। আজ থেকেই চেষ্টা করুন, ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুরু করতে।
সূত্র : Boldsky