প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

প্রতিবন্ধী মানুষের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও বেঙ্গল স্কয়ারে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকের মিডিয়া পার্টনার দৈনিক কালবেলা, বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান বলেন, প্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে দল, মত নির্বিশেষে এক সঙ্গে কাজ করা দরকার। এজন্য প্রথমেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। নয়তো ইনক্লুসিভ যে সমাজ ব্যবস্থার কথা বলছি, সেটা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এই কাজে সরকারকে প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বদলাতে হবে। রাষ্ট্র কাঠামোর, প্রশাসন ব্যবস্থাকেও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য মানবিক হতে হবে। এসব জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য গণমাধ্যমকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কিংবা প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা সবচেয়ে বেশি

প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে
প্রতিবন্ধী মানুষের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও বেঙ্গল স্কয়ারে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকের মিডিয়া পার্টনার দৈনিক কালবেলা, বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান বলেন, প্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে দল, মত নির্বিশেষে এক সঙ্গে কাজ করা দরকার। এজন্য প্রথমেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। নয়তো ইনক্লুসিভ যে সমাজ ব্যবস্থার কথা বলছি, সেটা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এই কাজে সরকারকে প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বদলাতে হবে। রাষ্ট্র কাঠামোর, প্রশাসন ব্যবস্থাকেও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য মানবিক হতে হবে। এসব জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য গণমাধ্যমকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কিংবা প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন যখন তারা পৃথিবীতে থাকবে না তখন এই সন্তানের কি হবে? কে দেখবে এই সন্তানকে। এজন্য রাষ্ট্রে এমন একটি কাঠামো গড়ে তোলা দরনকার যেখানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ নিরাপদে বাস করতে পারবে। তাদের নিয়ে আর কোনো বাবা মাকে দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না। আমরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার, সুরক্ষা নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করবো। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী বলেন, প্রতিবন্ধী মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য সারা দেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। আমরা প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অগ্রগতির জন্য কাজ করছি। প্রতিবন্ধী মানুষেরা সাধারণত ইশারা ভাষায় কথা বলে। এই ভাষা যেন অন্য মানুষের জন্যও বোধগম্য হয় তাই আমরা ইশারা ভাষা নিয়েও কাজ শুরু করবো। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের প্রতি আমাদের সদয় হতে হবে। সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। কিন্তু জনবহুল একটি দেশে এই পরিবর্তন হয়ত রাতারাতি সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা আশাবাদী, অল্প সময়ের মধ্যেই এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবন্ধী মানুষের দক্ষতা উন্নয়নে সারা দেশে প্রশিক্ষণ কর্মশালা চালু রেখেছে। যেখানে আগ্রহের সাথে এসব মানুষেরা গান, আবৃতিসহ নানা ধরণের দক্ষতা অর্জন করছেন। শিল্পকলা একাডেমিতে আমরা কাউকে আলাদা করে দেখি না। প্রতিবন্ধী মানুষের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শুধু রাষ্ট্র নয় সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে। আমরা চাই সমাজের প্রতিটি স্তরেরর মানুষ এগিয়ে আসবে এবং প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার, সুরক্ষা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত হেবে। ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুনিরা ইসলামের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব ডা. আব্দুল আহাদ, প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তা শর্মী রায়, দৃষ্টিজয়ী প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর মা সাবির সুলতানা, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ড. মো. রেজাউল কবির বিএমএস এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার স্বাস্থ্য সম্পাদক রাশেদ রাব্বি প্রমুখ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow