ফরিদপুরে নদীতে গোসল করা নিয়ে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৩০

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পূর্ব শত্রুতার জের ও নদীতে গোসল করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালের দিকে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের রাকিব শেখের ছেলে রাজ (৭) ও হারুন শেখের ছেলে রহমত (১০) নদীতে গোসল করা নিয়ে মারামারি হয়। এরপর ২২ নভেম্বর রাতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু সালিশে সন্তুষ্ট হয়নি হয়ে হারুন শেখ। এর জেরে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী বাজার ও পরমেশ্বরদী পশ্চিমপাড়া এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায় সালথার খাড়দিয়া ও পরমেশ্বরদীর এক অংশের লোকজন। এতে ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুত্বরা আহত হন শেখর ইউনিয়নের দৈবকনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আফতাব (৪২), দূর্গাপুর চকপাড়া গ্রামের নাদেন (২৪), সবজি ব্যবসায়ী রেজাউল (৫০), বাজিতপুর গ্রামের বিপ্লব (৩৫), তেলজুড়ী গ্রামের ওহিদ (৪০), ইউনুস (৫০) দূর্গাপুর গ্রামের লিপটন শিকদার (৩৫)। বাকিদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সালথা উপজেলা

ফরিদপুরে নদীতে গোসল করা নিয়ে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৩০

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পূর্ব শত্রুতার জের ও নদীতে গোসল করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালের দিকে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের রাকিব শেখের ছেলে রাজ (৭) ও হারুন শেখের ছেলে রহমত (১০) নদীতে গোসল করা নিয়ে মারামারি হয়। এরপর ২২ নভেম্বর রাতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু সালিশে সন্তুষ্ট হয়নি হয়ে হারুন শেখ। এর জেরে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী বাজার ও পরমেশ্বরদী পশ্চিমপাড়া এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায় সালথার খাড়দিয়া ও পরমেশ্বরদীর এক অংশের লোকজন। এতে ৩০ জন আহত হন।

এদের মধ্যে গুরুত্বরা আহত হন শেখর ইউনিয়নের দৈবকনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আফতাব (৪২), দূর্গাপুর চকপাড়া গ্রামের নাদেন (২৪), সবজি ব্যবসায়ী রেজাউল (৫০), বাজিতপুর গ্রামের বিপ্লব (৩৫), তেলজুড়ী গ্রামের ওহিদ (৪০), ইউনুস (৫০) দূর্গাপুর গ্রামের লিপটন শিকদার (৩৫)। বাকিদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সালথা উপজেলার খারদিয়ার ইউনিয়নের মুশফিক বিল্লাহ জিহাদ ও টুলু মিয়া লোকজনের সঙ্গে নিয়ে তেলজুড়ীতে আক্রমণ করে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। এ সময় তেলজুড়ী এলাকায় ১৮টি ঘরবাড়ী ও বাজারের ৫টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

ফরিদপুরে নদীতে গোসল করা নিয়ে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৩০

এ বিষয়ে খারদিয়ার ইউনিয়নের মুশফিক বিল্লাহ জিহাদ ও টুলু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ বলেন, খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুশফিক বিল্লাহ জিহাদ মিয়া ও তার মামা ইলিয়াস কাজী যৌথভাবে ঢাল, সড়কি, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী,বোয়ালমারী সার্কেল) আজম খান জাগো নিউজকে বলেন, পার্শ্ববর্তী সালথার থেকে কিছু লোকজন ওই এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রবেশ করে। এলাকার দুটি বাচ্চা গোসল করা নিয়ে মারামারি করে। এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি আরও বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে আমরা প্রকৃত দোষীদের আটক করবো। এ ঘটনায় মামলা হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এন কে বি নয়ন/এনএইচআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow