ফের পর্যটকে মুখর সেন্টমার্টিন

ফের পর্যটকে মুখর হয়ে উঠেছে সেন্টমার্টিন। প্রতিদিন শত শত পর্যটক দ্বীপের পানিতে পা ফেলছেন। হোটেল-রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্টে ভিড় বাড়ছে। তবে, পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন ১ ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত পর্যটক আসা শুরু হলেও সেটি আগের চেয়ে কম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১ ডিসেম্বর তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজে এক হাজার ১৭৪ জন, ২ ডিসেম্বর এক হাজার ১৫০ জন এবং ৩ ডিসেম্বর চারটি জাহাজে এক হাজার ৩৬৩ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন গেছেন। প্রতিদিন জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যাচ্ছেন। সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটক গণকে সরকারি ১২ বিধিনিষেধ মেনে ভ্রমণ করতে হবে। সেন্টমার্টিনের হোটেল সি-প্রবাল রেস্টুরেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আগের তুলনায় রেস্টুরেন্টে পর্যটকের সংখ্যা কম হলেও ভালো লাগছে। যদি পর্যটকরা দুই মাস রাত্রীযাপন করতে না পারত তবে এমন উপস্থিতি দেখা যেত না। এখন রাত্রীযাপনের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তারা আসা শুরু করেছে। সরকারি বিধিনিষেধ ও নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও ইউরো বাংলা রেস্টুরেন্টের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, ‘দ্বী

ফের পর্যটকে মুখর সেন্টমার্টিন

ফের পর্যটকে মুখর হয়ে উঠেছে সেন্টমার্টিন। প্রতিদিন শত শত পর্যটক দ্বীপের পানিতে পা ফেলছেন। হোটেল-রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্টে ভিড় বাড়ছে। তবে, পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন ১ ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত পর্যটক আসা শুরু হলেও সেটি আগের চেয়ে কম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১ ডিসেম্বর তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজে এক হাজার ১৭৪ জন, ২ ডিসেম্বর এক হাজার ১৫০ জন এবং ৩ ডিসেম্বর চারটি জাহাজে এক হাজার ৩৬৩ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন গেছেন। প্রতিদিন জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যাচ্ছেন। সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটক গণকে সরকারি ১২ বিধিনিষেধ মেনে ভ্রমণ করতে হবে।

সেন্টমার্টিনের হোটেল সি-প্রবাল রেস্টুরেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আগের তুলনায় রেস্টুরেন্টে পর্যটকের সংখ্যা কম হলেও ভালো লাগছে। যদি পর্যটকরা দুই মাস রাত্রীযাপন করতে না পারত তবে এমন উপস্থিতি দেখা যেত না। এখন রাত্রীযাপনের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তারা আসা শুরু করেছে। সরকারি বিধিনিষেধ ও নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’

ফের পর্যটকে মুখর সেন্টমার্টিন

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও ইউরো বাংলা রেস্টুরেন্টের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, ‘দ্বীপে দুই হাজার পর্যটক থাকার অনুমতি থাকলেও বর্তমানে মাত্র ১২০০–১৩০০ পর্যটক আসছেন।’

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের তুলনায় দ্বীপের বাহির থেকে আগত হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্টের উদ্যোক্তারা বেশি লাভবান হচ্ছেন। কারণ পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব কন্টাক্ট তারা আগে করে রাখেন। ফলে এখানকার স্থানীয়রা কম উপকৃত হচ্ছেন।’

ভ্যানচালক ইলিয়াস মিয়া জানান, ‘সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা আসায় আমরা খুব আনন্দিত। ভ্যান চালিয়ে এখন কিছুটা উপার্জন করতে পারছি। এ দুই মাসের উপার্জন দিয়ে সংসারের খরচ চালাবো।’

ফের পর্যটকে মুখর সেন্টমার্টিন

সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে আসা ঢাকার পর্যটক ইমদাদুল হাসান জাগো নিউজকে, ‘এটি আমার প্রথম সেন্টমার্টিন ভ্রমণ। এখানে এসে সাগরের সুন্দর ঢেউ, দ্বীপের সি-বিচ এবং চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।’

লিয়াকত আলী নামে আরেক পর্যটক বলেন, ‘দ্বীপে পর্যটন মৌসুমে তেমন প্লাস্টিক ব্যবহার দেখা যায়নি। যা পরিবেশবান্ধব পর্যটন ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইনামুল হাফিজ নাদিম জাগো নিউজকে, ‘সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের নিরাপত্তা আমরা যথাযথভাবে নজরদারি করছি। পাশাপাশি সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলা হচ্ছে কিনা সেটি দেখার জন্য একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।’

জাহাঙ্গীর আলম/আরএইচ/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow