ফোল্ডেবল আইফোন আনছে অ্যাপল, গুঞ্জন নাকি সত্যি?
অ্যাপলের প্রথম ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ায় জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র বলছে, ২০২৬ সালেই বাজারে আসতে পারে অ্যাপলের প্রথম ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন ‘আইফোন ফোল্ড’। ফোল্ডেবল ফোনের বাজারে স্যামসাং, শাওমি, অপ্পোসহ বড় ব্র্যান্ডগুলো বহু বছর ধরে অবস্থান করলেও, অ্যাপল এখনো গবেষণা ও প্রস্তুতি পর্যায়ে ছিল। এবার সেই অপেক্ষার অবসানের ইঙ্গিত মিলছে। আগামী বছরই কি আসছে ‘আইফোন ফোল্ড’?প্রযুক্তিবিষয়ক মাধ্যম ম্যাশেবল জানিয়েছে-চীনের সংবাদমাধ্যম ইউডিএন দাবি করেছে, অ্যাপল ২০২৬ সালেই তাদের ফোল্ডেবল ডিভাইস উন্মোচন করবে। যদিও এটি নিশ্চিত নয়, তবে অন্যান্য গুঞ্জনের সঙ্গেও তথ্যটি মিলে যাচ্ছে। নতুন আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়, অ্যাপল স্যামসাং ডিসপ্লের কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ ওএলইডি প্যানেল অর্ডার দিয়েছে, যা সম্ভাব্য ফোল্ডেবল আইফোনের জন্য বরাদ্দ হতে পারে। তবে কোরিয়ার ইটি নিউজের মূল প্রতিবেদনটি মুছে ফেলা হয়েছে, ফলে অর্ডারের সংখ্যাটি নিয়েও কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে। গ্লোবাল রিসার্চ প্রতিষ্ঠান আইডিসি পূর্বাভাস দিয়েছে-অ্যাপল ফোল্ডেবল বাজারে প্রবেশ করলেই বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। তাদের বিশ্লেষণে বলা হয়-
অ্যাপলের প্রথম ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ায় জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র বলছে, ২০২৬ সালেই বাজারে আসতে পারে অ্যাপলের প্রথম ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন ‘আইফোন ফোল্ড’। ফোল্ডেবল ফোনের বাজারে স্যামসাং, শাওমি, অপ্পোসহ বড় ব্র্যান্ডগুলো বহু বছর ধরে অবস্থান করলেও, অ্যাপল এখনো গবেষণা ও প্রস্তুতি পর্যায়ে ছিল। এবার সেই অপেক্ষার অবসানের ইঙ্গিত মিলছে।
আগামী বছরই কি আসছে ‘আইফোন ফোল্ড’?
প্রযুক্তিবিষয়ক মাধ্যম ম্যাশেবল জানিয়েছে-চীনের সংবাদমাধ্যম ইউডিএন দাবি করেছে, অ্যাপল ২০২৬ সালেই তাদের ফোল্ডেবল ডিভাইস উন্মোচন করবে। যদিও এটি নিশ্চিত নয়, তবে অন্যান্য গুঞ্জনের সঙ্গেও তথ্যটি মিলে যাচ্ছে। নতুন আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়, অ্যাপল স্যামসাং ডিসপ্লের কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ ওএলইডি প্যানেল অর্ডার দিয়েছে, যা সম্ভাব্য ফোল্ডেবল আইফোনের জন্য বরাদ্দ হতে পারে। তবে কোরিয়ার ইটি নিউজের মূল প্রতিবেদনটি মুছে ফেলা হয়েছে, ফলে অর্ডারের সংখ্যাটি নিয়েও কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে।
গ্লোবাল রিসার্চ প্রতিষ্ঠান আইডিসি পূর্বাভাস দিয়েছে-অ্যাপল ফোল্ডেবল বাজারে প্রবেশ করলেই বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। তাদের বিশ্লেষণে বলা হয়-প্রথম বছরেই ফোল্ডেবল ইউনিট শেয়ারের ২২ শতাংশ দখল করতে পারে অ্যাপল। বাজারমূল্যের ৩৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। আর সম্ভাব্য গড় মূল্য হতে পারে ২,৪০০ ডলার। বিশ্লেষকদের মতে, অ্যাপল ইকোসিস্টেমের কারণে শুরুতেই বাজারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
স্পেসিফিকেশনে যা জানা গেছে
অ্যাপলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে যা উঠে এসেছে-ডিভাইসটি হবে বুক-স্টাইল ভাঁজযোগ্য ডিজাইন। ভাঁজ খুললে স্ক্রিনে কোনো ক্রিজ বা ভাঁজের দাগ থাকবে না। তথ্যে উঠে এসেছে-ইননার ডিসপ্লে ৭.৮ ইঞ্চি, আউটার ডিসপ্লে ৫.৫ ইঞ্চি, পুরুত্ব হতে পারে ৯-৯.৫ মিমি।
একটি আলাদা গুঞ্জনে বলা হয়, ডিভাইসটি দেখতে হবে দুইটি আইফোন এয়ার পাশাপাশি জোড়া লাগানো মতো, যার আনফোল্ড পুরুত্ব মাত্র ৫.৬ মিমি হতে পারে। আর ক্যামেরা ও নিরাপত্তা ফিচারে অ্যাপল বিশ্লেষক মার্ক গুরম্যান জানিয়েছেন-থাকবে মোট ৪টি ক্যামেরা। পিছনে ২টি। ভাঁজের ভেতরে ১টি। আর সেলফি ক্যামেরা ১টি।
এতে টাচ আইডি ফিরতে পারে বলেও জানা গেছে। সব মিলিয়ে বলা যায়-যদি গুঞ্জন সত্যি হয়, তবে ২০২৬ সালেই বাজারে আসতে পারে অ্যাপলের প্রথম আইফোন ফোল্ড।
আরও পড়ুন
আইফোন সিক্সটিন প্রো ম্যাক্সে কেন ভালো ছবি ওঠে
সস্তায় আইফোনের চেয়েও ভালো ৩ ফোন
শাহজালাল/কেএসকে/
What's Your Reaction?