ফ্রান্সে ‘প্রতিদিন হত্যা বা নির্যাতনের শিকার তিন নারী’, সহিংসতা বন্ধে বিক্ষোভ
সম্প্রতি ফ্রান্সে পারিবারিক লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে দেশটির জনগণ। এসব ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে প্রতিবাদকারীদের ঢল নামে। সহিংসতার শিকার নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়ে হাজারও মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, বছরের পর বছর রাজনৈতিক অঙ্গীকারের পরও বাস্তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। নারী অধিকারকর্মী মেরি-জোজের মতে, ১৯৯০-এর দশকের তুলনায় সমতা অর্জনে আমরা বরং পেছনে হাঁটছি। বিশেষ করে বয়স্ক নারীদের প্রতি সমাজের উদাসীনতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীদের মধ্যে ভিকটিমের সংখ্যা এক বছরে ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশে। ফ্রান্সের সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে দেশটিতে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নিহত হয়েছেন ১০৭ নারী, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থা মিপ্রফ–এর (নারী সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় মিশন) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন গড়ে তিনের বেশি নারী ফেমিসাইড (নারী হওয়ায় হত্যা) বা এর চেষ্টার শিকার হচ্ছেন। এছাড়া সরকারি পর্যব
সম্প্রতি ফ্রান্সে পারিবারিক লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে দেশটির জনগণ। এসব ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে প্রতিবাদকারীদের ঢল নামে। সহিংসতার শিকার নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়ে হাজারও মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, বছরের পর বছর রাজনৈতিক অঙ্গীকারের পরও বাস্তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। নারী অধিকারকর্মী মেরি-জোজের মতে, ১৯৯০-এর দশকের তুলনায় সমতা অর্জনে আমরা বরং পেছনে হাঁটছি। বিশেষ করে বয়স্ক নারীদের প্রতি সমাজের উদাসীনতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীদের মধ্যে ভিকটিমের সংখ্যা এক বছরে ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশে।
ফ্রান্সের সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে দেশটিতে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নিহত হয়েছেন ১০৭ নারী, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।
সরকারি সংস্থা মিপ্রফ–এর (নারী সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় মিশন) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন গড়ে তিনের বেশি নারী ফেমিসাইড (নারী হওয়ায় হত্যা) বা এর চেষ্টার শিকার হচ্ছেন।
এছাড়া সরকারি পর্যবেক্ষণ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, প্রতি সাত ঘণ্টায় এক নারীকে তার বর্তমান বা সাবেক সঙ্গী হত্যা করে, হত্যার চেষ্টা করে, অথবা এমন সহিংসতায় তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়।
এসব ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতের জন্য ফ্রান্সের সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদনে ফ্রান্সের বিচার ব্যবস্থায় পারিবারিক সহিংসতা মোকাবিলা করার পদ্ধতিতে বড় ধরনের সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এমন মামলার বিচারের জন্য বিশেষ বিচারকের পদ পরীক্ষামূলকভাবে চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রস্তাব সম্মিলিত এ প্রতিবেদনটি ফরাসি বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভে যোগ দেওয়া ‘সলিডেয়ার’ ইউনিয়নের সদস্য ভায়োলেট বলেন, বয়স্ক নারীদের গল্প অনেকেই গুরুত্বই দেন না কারণ তারা তরুণ নারীদের মতো ‘ব্যাংকেবল’ নন।
তার মতে, ফ্রান্সের সহিংসতা মোকাবিলা নীতি এখনও অসংগত, দুর্বল এবং দীর্ঘদিন ধরেই তহবিল সংকটে ভুগছে। নাগরিক সংগঠনগুলো বলছে, কার্যকর কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বছরে অন্তত ৩ বিলিয়ন ইউরো প্রয়োজন। কিন্তু সরকারের ২০২৫ সালের বাজেটে নারী-পুরুষ সমতার জন্য বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ৯৪ মিলিয়ন ইউরো যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি অল্প।
সূত্র: ইউরো নিউজ
কেএম
What's Your Reaction?