বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। এতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করেন তারা। পাশাপাশি বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে বলেও মন্তব্য করেন তারা। বুধবার (১৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ নেতারা অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ও দ্রুততার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর হস্তান্তরের প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিকে তারা বলেন, অস্বাভাবিক দ্রুততায় বিদেশি কোম্পানির নিকট কনটেইনার টার্মিনাল তুলে দেওয়া দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে ও এটি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি। বাংলাদেশের বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। বিদেশিদের হাতে টার্মিনাল পোর্ট ও বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন যুক্ত আছে। আরও পড়ুনবাংলাদেশকে বিজনেস ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত লালদিয়া-পানগাঁও টার্মিনাল: গ্লোবাল অপারেটরে দেশের লাভ না ক্ষতি  ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের নীতি নি

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। এতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করেন তারা। পাশাপাশি বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ নেতারা অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ও দ্রুততার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর হস্তান্তরের প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিকে তারা বলেন, অস্বাভাবিক দ্রুততায় বিদেশি কোম্পানির নিকট কনটেইনার টার্মিনাল তুলে দেওয়া দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে ও এটি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি। বাংলাদেশের বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। বিদেশিদের হাতে টার্মিনাল পোর্ট ও বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন যুক্ত আছে।

আরও পড়ুন
বাংলাদেশকে বিজনেস ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত 
লালদিয়া-পানগাঁও টার্মিনাল: গ্লোবাল অপারেটরে দেশের লাভ না ক্ষতি 

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কর্মকাণ্ডই অতীতকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। দেশের জনগণ, জনমত ও জনআকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যে কোনো কার্যক্রম জনরোষের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর করবে। গভীর পরিতাপের বিষয় যে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশবিরোধী চুক্তি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।

এসময় তারা অনতিবিলম্বে সরকারকে দেশবিরোধী চুক্তি তথা বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। অন্যথায় ১২ দলীয় জোট দেশের আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বিবৃতিতে সই করেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

এমএইচএ/কেএসআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow