বরগুনায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা জেঁকে বসায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর গড়ালেও কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি থাকছে যে গ্রামাঞ্চল ও সড়কপথ দীর্ঘ সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। সূর্যের দেখা মিলছে না, ফলে দিনের বেলাতেও যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা নেমে এসেছে ৫০ মিটারের নিচে, যা সড়ক ও নৌপথে চলাচলে সর্বোচ্চ ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, রবিবার ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় দক্ষিনাঞ্চলের বরগুনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৯১ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। তীব্র শীতের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, দিনমজুর, জেলে ও খেটে খাওয়া মানুষ। অনেককে খোলা আকাশের নিচে কিংবা রাস্তার পাশে খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে কর্মস্থলে যেতে

বরগুনায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা জেঁকে বসায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সকাল থেকে দুপুর গড়ালেও কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি থাকছে যে গ্রামাঞ্চল ও সড়কপথ দীর্ঘ সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। সূর্যের দেখা মিলছে না, ফলে দিনের বেলাতেও যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা নেমে এসেছে ৫০ মিটারের নিচে, যা সড়ক ও নৌপথে চলাচলে সর্বোচ্চ ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, রবিবার ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় দক্ষিনাঞ্চলের বরগুনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৯১ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

তীব্র শীতের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, দিনমজুর, জেলে ও খেটে খাওয়া মানুষ। অনেককে খোলা আকাশের নিচে কিংবা রাস্তার পাশে খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে কর্মস্থলে যেতে না পারায় তাদের আয়ের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

এদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীর চাপ বাড়ছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে “শীতার্ত মানুষের কষ্ট আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী আরও সহযোগিতার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিন উপকূলীয় এলাকায় শীত ও কুয়াশার এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow