বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে কলকাতার ব্যবসায়ীদের করুণ দশা
বাংলাদেশি পর্যটক না থাকায় কলকাতার এক টুকরো বাংলাদেশ নামে পরিচিত নিউমার্কেটের চত্বরে ব্যবসায়ীদের করুণ দশা। কলকাতার অনেক হোটেল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। মূলত রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভিসা জটিলতার কারণেই এ করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিউমার্কেট চত্বরের কিড স্ট্রিট থেকে শুরু করে রয়েড স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কলিন দেন, টটি লেন, মারকুইস স্ট্রিটের ছোট-বড় প্রায় সব ব্যবসায়ী বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসা প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে এবং অনেকে পুরো ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন। নিউমার্কেট চত্বরের খাবার হোটেল রয়েছে প্রায় ৩০টির মতো। এর মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় ‘খালেক রেস্টুরেন্ট’। আগে সেখানে এক বাটি গরুর কালা ভুনা খেতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। সেই খালেক রেস্টুরেন্টই এখন বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে লোকসানে ভুগছে। শুধু কি খালেক রেস্টুরেন্ট? প্রায় প্রতিটি খাবারের হোটেলেই একই অবস্থা। একসময় সন্ধ্যা নামলে নিউমার্কেটের খালেক এবং দাওয়াতে তিল ধারণের জায়গা থাকতো ন
বাংলাদেশি পর্যটক না থাকায় কলকাতার এক টুকরো বাংলাদেশ নামে পরিচিত নিউমার্কেটের চত্বরে ব্যবসায়ীদের করুণ দশা। কলকাতার অনেক হোটেল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। মূলত রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভিসা জটিলতার কারণেই এ করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
নিউমার্কেট চত্বরের কিড স্ট্রিট থেকে শুরু করে রয়েড স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কলিন দেন, টটি লেন, মারকুইস স্ট্রিটের ছোট-বড় প্রায় সব ব্যবসায়ী বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসা প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে এবং অনেকে পুরো ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন।
নিউমার্কেট চত্বরের খাবার হোটেল রয়েছে প্রায় ৩০টির মতো। এর মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় ‘খালেক রেস্টুরেন্ট’। আগে সেখানে এক বাটি গরুর কালা ভুনা খেতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। সেই খালেক রেস্টুরেন্টই এখন বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে লোকসানে ভুগছে।
শুধু কি খালেক রেস্টুরেন্ট? প্রায় প্রতিটি খাবারের হোটেলেই একই অবস্থা। একসময় সন্ধ্যা নামলে নিউমার্কেটের খালেক এবং দাওয়াতে তিল ধারণের জায়গা থাকতো না। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে চিত্রটা অন্যরকম। দিন যত এগোচ্ছে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের করুণ দশাও থামছে না।
খালেক রেস্টুরেন্টের কর্মচারী আবু আলী জানিয়েছেন, শুধু মেডিকেল ভিসায় আসা বাংলাদেশি পর্যটকদের দিয়েও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলানো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতির কারণে কলকাতায় পর্যটন ব্যবসায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
আবু আলি আরও জানিয়েছেন, যতক্ষণ না পর্যটক ভিসা চালু হচ্ছে ততক্ষণ এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা খুব মুশকিল। আমরা আশা করবো শিগগির পর্যটক ভিসা চালু হবে এবং বাংলাদেশি অতিথিদের আগমন এই চত্বরে আবারও বাড়বে।
ডিডি/টিটিএন
What's Your Reaction?