বাবার ছুরিকাঘাতে একমাত্র ছেলের মৃত্যু

বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার ইদুপাড়া গ্রামে মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে মারধর করার জের ধরে বাবার ছুরিকাঘাতে সফিক হাওলাদার (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে তাদের নিজ বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত সফিক ছিলেন পরিবারের একমাত্র সন্তান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সফিক হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা নিলেও ফের স্বাভাবিক হতে পারেননি। মাদক সংক্রান্ত মামলায় একবার জেলও খেটেছেন। চলতি বছরের ৭ অক্টোবর তিনি কারাগারে যান এবং ১০ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফেরার পর থেকেই মাদকের টাকার জন্য বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করতেন সফিক। সোমবার দুপুরে তিনি পিতা ঝালমুড়ি বিক্রেতা হারুন হাওলাদারের (৫০) কাছে আবারও মাদকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সফিক বাবাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে কাঁচা মরিচ কাটার ছুরি নিয়ে বাবা হারুন হাওলাদার ছেলের পিঠে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় সফিক ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে মারা যান। ঘটনার পরপরই পিতা হারুন হাওলাদার পালিয়ে যান। নিহতের মা রাসেদা বেগম জানান, ও আমাদের একমাত্র সন্তা

বাবার ছুরিকাঘাতে একমাত্র ছেলের মৃত্যু

বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার ইদুপাড়া গ্রামে মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে মারধর করার জের ধরে বাবার ছুরিকাঘাতে সফিক হাওলাদার (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে তাদের নিজ বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত সফিক ছিলেন পরিবারের একমাত্র সন্তান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সফিক হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা নিলেও ফের স্বাভাবিক হতে পারেননি। মাদক সংক্রান্ত মামলায় একবার জেলও খেটেছেন। চলতি বছরের ৭ অক্টোবর তিনি কারাগারে যান এবং ১০ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরে আসেন।

বাড়ি ফেরার পর থেকেই মাদকের টাকার জন্য বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করতেন সফিক। সোমবার দুপুরে তিনি পিতা ঝালমুড়ি বিক্রেতা হারুন হাওলাদারের (৫০) কাছে আবারও মাদকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সফিক বাবাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে কাঁচা মরিচ কাটার ছুরি নিয়ে বাবা হারুন হাওলাদার ছেলের পিঠে আঘাত করেন।

রক্তাক্ত অবস্থায় সফিক ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে মারা যান। ঘটনার পরপরই পিতা হারুন হাওলাদার পালিয়ে যান।

নিহতের মা রাসেদা বেগম জানান, ও আমাদের একমাত্র সন্তান ছিলো । অনেকদিন ধরে নেশায় ধ্বংস হয়ে গেছিল। তিনবার রিহ্যাবে চিকিৎসা নিলেও ফের স্বাভাবিক হতে পারেননি। মাদক সংক্রান্ত মামলায় একবার জেলও খেটেছেন। চলতি বছরের ৭ অক্টোবর কারাগারে যায় এবং ১০ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরে এসে মাদকের টাকার জন্য তার বাবা ও আমাকে মারধর করতো।এখন সব শেষ।

তালতলী থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন,মাদকাসক্ত ছেলের মারধরের জেরে পিতা ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানা গেছে। পিতা পলাতক, তাকে ধরতে অভিযা ন চলছে।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow