বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন দাবিতে মশাল মিছিল, সংঘর্ষে আহত ২০
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে তানোরে মশাল মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শরীফ উদ্দিন ও মনোনয়ন বঞ্চিত সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোনয়নবঞ্চিত অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারী ও নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর ডাকবাংলো মাঠ থেকে এই মশাল মিছিল বের করেন। মিছিলটি পৌরসভা ও ভূমি অফিসের গেটের সামনে পৌঁছাতেই শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। হঠাৎ হামলার মুখে তারেকপন্থিরা দৌড়ে ডাকবাংলোর দিকে ফিরে আসেন। পরে অল্প সময়ের মধ্যেই তারা পাল্টা ধাওয়া দিলে শরীফপন্থিরা ছুটোছুটি শুরু করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে পড়েন। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে উপজেলা পরিষদের মূল ফটক থেকে শুরু করে ভূমি অফিসের গেট পর্যন্ত টানা সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। এতে উভয় পক্ষের অ
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে তানোরে মশাল মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শরীফ উদ্দিন ও মনোনয়ন বঞ্চিত সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোনয়নবঞ্চিত অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারী ও নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর ডাকবাংলো মাঠ থেকে এই মশাল মিছিল বের করেন। মিছিলটি পৌরসভা ও ভূমি অফিসের গেটের সামনে পৌঁছাতেই শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। হঠাৎ হামলার মুখে তারেকপন্থিরা দৌড়ে ডাকবাংলোর দিকে ফিরে আসেন। পরে অল্প সময়ের মধ্যেই তারা পাল্টা ধাওয়া দিলে শরীফপন্থিরা ছুটোছুটি শুরু করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে পড়েন। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে উপজেলা পরিষদের মূল ফটক থেকে শুরু করে ভূমি অফিসের গেট পর্যন্ত টানা সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি।
জানা গেছে, এর আগে বিকেল থেকেই ডাকবাংলো মাঠে তারেক গ্রুপ এবং থানা মোড়ে শরীফ গ্রুপের লোকজন অবস্থান নেন। সন্ধ্যার আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় থানা পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশের ভূমিকা নীরব ছিল অভিযোগও করেছেন স্থানীয়রা।
তারেকের ছোটভাই সাইফুল ইসলাম হিরক জানান, ‘প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল বের করা হয়েছিল। কিন্তু ভূমি অফিসের কাছে পৌঁছাতেই শরীফপন্থিরা হামলা করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে রুবেল নামে তাদের একজনের পা ভেঙে গেছে এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পা ভেঙে দীর্ঘক্ষণ রুবেল পৌর ভবনের দক্ষিণ পাশে বটগাছের নিচে পড়ে ছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। উত্তেজনা প্রায় ৭টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পরে থানা পলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এদিকে শরীফপন্থিদের অভিযোগ ভিন্ন। তারা দাবি করেন, ‘তানোরের রাজনৈতিক মাঠকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যেই তারেকপন্থিরা মশাল মিছিল বের করেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে থানা মোড়ে অবস্থান করছিলেন। তারেকপন্থিরা দাম্ভিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে, যেকোনোভাবে তারা মশাল মিছিল করবেনই। এটি উত্তেজনা সৃষ্টির প্রচেষ্টা বলেও তারা মনে করেন।’
জানা গেছে, কলমা ইউনিয়নে বিকেল থেকেই মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনের একটি সভা চলছিল। তারেকপন্থিদের দাবি, সেখান থেকেই শরীফপন্থিরা এসে মশাল মিছিলে হামলা চালায়।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি। কেউ আহত হয়েছে কি না সে ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/জেআইএম
What's Your Reaction?