বিএনপি সব ধর্মের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করে : ড. মারুফ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার রাজনীতি করে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে দাউদকান্দি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সতানন্দী গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সিদ্ধেশ্বরী শ্মশানে আয়োজিত কালীপূজা চলাকালীন ভক্তদের উদ্দেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে ধর্মীয় সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা। এই দেশ হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার। ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ সৃষ্টি করে কোনো রাজনৈতিক লাভ নেই। বিএনপি কখনো ধর্মের নামে রাজনীতি করেনি; বরং সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় আপসহীন অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর শহীদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সব শ্রেণি-পেশা ও ধর্মের মানুষকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপি আজও ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন, একটি

বিএনপি সব ধর্মের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করে : ড. মারুফ
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার রাজনীতি করে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে দাউদকান্দি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সতানন্দী গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সিদ্ধেশ্বরী শ্মশানে আয়োজিত কালীপূজা চলাকালীন ভক্তদের উদ্দেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে ধর্মীয় সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা। এই দেশ হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার। ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ সৃষ্টি করে কোনো রাজনৈতিক লাভ নেই। বিএনপি কখনো ধর্মের নামে রাজনীতি করেনি; বরং সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় আপসহীন অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর শহীদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সব শ্রেণি-পেশা ও ধর্মের মানুষকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপি আজও ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন, একটি মহল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ এখন সচেতন, তারা জানে কোন দল প্রকৃত অর্থে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মানুষের অধিকার রক্ষা করে এবং আগামী দিনে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে সব ধর্মের মানুষের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার আহ্বান জানান। পৌরসভার উত্তর সতানন্দী শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীপূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমর চন্দ সরকারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ লতিফ ভূঁইয়া, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সওগাত চৌধুরী পিটার, সদস্য সচিব কাউছার আলম সরকার, পৌর কৃষকদলের সভাপতি মো. ফিরোজ মিয়া, পৌর জাসাসের আহ্বায়ক মোল্লা সোহেল, সদস্য সচিব মধু সরকার ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল মিয়া। সভায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow