বিচারকের ছেলে হত্যা মামলায় আসামির দায় স্বীকার

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন হত্যা ও স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামি লিমন মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে দ্বিতীয় দফার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হয়। পরে বিচারক মামুনুর রশিদ বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লিমনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাত পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে লিমন মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তিনি জানান, পূর্বপরিচিত থাকলেও বিভিন্ন কারণে বিচারকের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লিমন বিভিন্নভাবে হুমকি দেন তাদেরকে। এ ঘটনার পর গত এক সপ্তাহ আগে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার সিলেটের একটি থানায় লিমনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ক্ষোভ থেকেই পরিচয় গোপন করে বিচারকের ভাই পরিচয়ে তাদের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে লিমন। জবানবন্দিতে লিমন আরও জানায়, বাসায় ঢোকার পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাসমিন নাহার পুলিশে ফোন করতে চাইলে

বিচারকের ছেলে হত্যা মামলায় আসামির দায় স্বীকার

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন হত্যা ও স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামি লিমন মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে দ্বিতীয় দফার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হয়। পরে বিচারক মামুনুর রশিদ বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লিমনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাত পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে লিমন মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তিনি জানান, পূর্বপরিচিত থাকলেও বিভিন্ন কারণে বিচারকের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লিমন বিভিন্নভাবে হুমকি দেন তাদেরকে। এ ঘটনার পর গত এক সপ্তাহ আগে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার সিলেটের একটি থানায় লিমনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ক্ষোভ থেকেই পরিচয় গোপন করে বিচারকের ভাই পরিচয়ে তাদের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে লিমন।

জবানবন্দিতে লিমন আরও জানায়, বাসায় ঢোকার পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাসমিন নাহার পুলিশে ফোন করতে চাইলে তাকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাত ও কামড় দেয়।

রাজশাহী মহানগর কোট পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল লিমনকে কোর্টে হাজির করা হয়। এরপর সে তার জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর নগরীর ডাবতলায় দায়রা জজ আব্দুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে লিমন মিয়া সুমন ও তার মাকে ছুরিকাঘাতে জখম করে। হাসপাতালে নিলে সুমনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সেদিনই আহত অবস্থায় লিমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন বিচারক আব্দুর রহমান তাকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

সাখাওয়াত হোসেন/কেএইচকে/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow