লেবাননে সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির পর তা কার্যকর হয়েছে। এরপর ভাষণ দিয়েছেন দেশটির প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর প্রধান নাইম কাসেম। এ সময় তিনি হিজবুল্লাহর বিজয় ঘোষণা করেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহর প্রধান বলেন, এটি আমাদের বিজয়। ২০০৬ সালের তুলনায় অনেক বড় এ বিজয়।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির দিনই তিনি এ ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন। তবে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে আর জনগণ কীভাবে বিষয়গুলো নেবে, সেটি দেখার জন্য তিনি এই দেরি করেছেন। বক্তৃতায় তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্কতা বজায় রাখেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনেও ইসরায়েল চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে। তারা লেবাননের নাগরিকদের ওপর বন্দুকের গুলি থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে মারাকোভা ট্যাংক হামলা চালিয়েছে।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, তার দল লেবাননের রাজনৈতিক জীবনে -রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকভাবে আরও বেশি একীভূত হতে ভূমিকা রাখবে।
এর আগে বুধবার মধ্যরাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। প্রাথমিক অবস্থায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে আরও বাড়ানো হতে পারে।
নেতানিয়াহু বলেন, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাহ যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে তাহলে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
চুক্তি অনুসারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে ইসরায়েল তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ সীমান্ত থেকে সরে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে সরে যাবে। এ ছাড়া তারা নতুন করে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ বা নিজেদের পুনরায় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করতে পারবে না।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, বর্তমানে আগের মতো শক্তিশালী নেই হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে। তেলআবিব যুদ্ধে লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ সময় চুক্তি অমান্য করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।