বিজয় দিবসে চট্টগ্রামে রণাঙ্গনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় দিবসে রণাঙ্গনের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে চট্টগ্রামের জনসাধারণ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই নগরজুড়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি। ভোরে নগরীর উত্তর কাট্টলীতে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সর্বপ্রথম স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউদ্দীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হুমায়ন কবির ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁনসহ প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম থেকেই শহীদ রাষ্ট্র
মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় দিবসে রণাঙ্গনের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে চট্টগ্রামের জনসাধারণ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই নগরজুড়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি।
ভোরে নগরীর উত্তর কাট্টলীতে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সর্বপ্রথম স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউদ্দীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হুমায়ন কবির ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁনসহ প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম থেকেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
তিনি আরও বলেন, বীর শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা লাল-সবুজের পতাকা ও ৫৫ হাজার ১২৬ বর্গমাইলের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অস্থায়ী স্মৃতিসৌধের পাশাপাশি নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
What's Your Reaction?