বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ, মামলা হলেও অধরা ধর্ষক

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও গত ২০ দিনেও ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্ত আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার ও সৈয়দপুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। থানায় করা মামলায় বলা হয়, উপজেলার জনৈক ব্যক্তির অবিবাহিতা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী (২৮) মেয়ে প্রায় বাড়ির বাইরে একাকী ঘোরাফেরা করে থাকেন। ঘটনার দিন গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম ওরফে আমুল (৫১) প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে কৌশলে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সটকে পড়ে। পরে ওই নারী ধর্ষক আমিনুল কর্তৃক ধর্ষণ হওয়ার বিষয়টি পরিবারের কাছে জানান। এরপর ধর্ষিতা নারীকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল ও নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।  পরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর ভাই বাদী হয়ে ধর্ষক আমিনুল ইসলাম ওরফে আমুলকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। গত ৩ নভেম্বর মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় থানার উপপরিদর্শক হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মনকে। এ ঘটন

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ, মামলা হলেও অধরা ধর্ষক
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও গত ২০ দিনেও ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্ত আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার ও সৈয়দপুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। থানায় করা মামলায় বলা হয়, উপজেলার জনৈক ব্যক্তির অবিবাহিতা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী (২৮) মেয়ে প্রায় বাড়ির বাইরে একাকী ঘোরাফেরা করে থাকেন। ঘটনার দিন গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম ওরফে আমুল (৫১) প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে কৌশলে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সটকে পড়ে। পরে ওই নারী ধর্ষক আমিনুল কর্তৃক ধর্ষণ হওয়ার বিষয়টি পরিবারের কাছে জানান। এরপর ধর্ষিতা নারীকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল ও নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।  পরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর ভাই বাদী হয়ে ধর্ষক আমিনুল ইসলাম ওরফে আমুলকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। গত ৩ নভেম্বর মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় থানার উপপরিদর্শক হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মনকে। এ ঘটনায় সৈয়দপুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু ধর্ষককে গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। ফলে ধর্ষক অধরাই রয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালবেলাকে জানান, আসামি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow