বেড়েছে সবজি-মাছের দাম, কমেছে মুরগির
ময়মনসিংহের বাজারে শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। কোনো কোনো সবজি কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বেড়েছে মাছের দামও। এতে ক্ষুব্ধ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে শহরের ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজারে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে গোল বেগুন ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা, করলা ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা, ঢ্যাঁডশ ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, চিকন বেগুন ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, শসা ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ১২০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ টাকা কেজিতে, লাউ ৬০ টাকা পিস, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি ও লেবু ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে মাছের দাম। গত সপ্তাহ রুই ৩৪০-৪৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৩৫০-৪৫০ টাকা, শোল ৬০০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৬১০-৮৬০ টাকা, কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ২৬০-৩৬০ টাকা ও ট্য
ময়মনসিংহের বাজারে শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। কোনো কোনো সবজি কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বেড়েছে মাছের দামও। এতে ক্ষুব্ধ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে শহরের ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজারে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে গোল বেগুন ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা, করলা ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা, ঢ্যাঁডশ ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, চিকন বেগুন ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, শসা ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া টমেটো ১২০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ টাকা কেজিতে, লাউ ৬০ টাকা পিস, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি ও লেবু ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে মাছের দাম। গত সপ্তাহ রুই ৩৪০-৪৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৩৫০-৪৫০ টাকা, শোল ৬০০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৬১০-৮৬০ টাকা, কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ২৬০-৩৬০ টাকা ও ট্যাংরা ৫৩০-৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৫৪০-৮১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া টাকি ৪২০-৫৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪৩০ টাকা, সিলভার কার্প ২২০-২৯০ টাকা, তেলাপিয়া ২১০-২৯০ টাকা, পাঙাশ ১৭০-২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫৩০ টাকা, কালবাউশ ৩৪০-৪০০টাকা, মৃগেল ২৯০-৩৪০ টাকা ও শিং ৩৫০-৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ১৬০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসেন শামসুল হক। এসময় হয় তার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। তবুও দাম বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভারি করছেন বিক্রেতারা। বাজারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ মনিটরিং না থাকায় দামে উত্তাপ বিরাজ করছে।
মাছ কিনতে আসেন হালিম মিয়া। তিনি বলেন, এ জেলা মাছ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। তবুও অহেতুক দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় মাছ কম কিনে অনেকে বাড়ি ফিরছেন। বাজারে মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন।
সবজি বিক্রেতা মিয়া বলেন, শীতের আমেজ শুরু হলেও এখনো চাহিদার তুলনায় সবজি সে পরিমাণ বাজারে আসছে না। আগামী সপ্তাহ থেকে সবজির সরবরাহ অনেক বাড়তে পারে। তখন দাম কমে যাওয়ার রয়েছে।
মাছ বিক্রেতা মো. আলী বলেন, আড়তদাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। বাড়তি দামে বিক্রি করায় ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। কিন্তু এতে আমাদের কিছুই করার নেই।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া অহেতুক দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা যাবে না। বাজারে খোঁজ নেওয়া হবে। ক্রেতাদের ঠকানোর প্রমাণ মিললে অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মিন্টু/আরএইচ/এএসএম
What's Your Reaction?